বিপজ্জনক: বিজন সেতুর ফুটপাত জুড়ে এখনও পড়ে রয়েছে আমপানে ভেঙে যাওয়া বাতিস্তম্ভের তার। নিজস্ব চিত্র
আমপানের পরে শহরে গাছের সঙ্গে সঙ্গে বহু জায়গায় ভেঙে পড়েছিল বাতিস্তম্ভও। ওই সমস্ত এলাকায় রাস্তার পাশে ফের আলো বসাতে সম্প্রতি ৩০ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু সম্পত্তিকর আদায় তলানিতে এসে ঠেকায় কী ভাবে বাতিস্তম্ভের জন্য ওই টাকা বরাদ্দ করা হবে, তা নিয়ে সমস্যায় পুর কর্তৃপক্ষ। ফলে বাতিস্তম্ভ সারাইয়ের কাজেও দেরি হচ্ছে।
পুর আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, আমপানের কারণে শহরে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বাতিস্তম্ভ নষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি ত্রিফলা আলো। ফলে শহরের বহু রাস্তাতেই আলো না জ্বলায় সমস্যায় পড়ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। পুর কর্তৃপক্ষ জানান, মানিকতলা, পঞ্চসায়র, চারু মার্কেট, সাদার্ন অ্যাভিনিউ-সহ বিস্তীর্ণ অংশ সে সময়ে অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল। পরবর্তী কালে অস্থায়ী ভাবে সেখানে রাস্তার পাশে আলো বসানোর ব্যবস্থা হলেও সমস্যার পুরোপুরি সমাধান হয়নি। সে কারণেই পুর কর্তৃপক্ষ ফের বাতিস্তম্ভ বসাতে ৩০ কোটি টাকার প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছেন। কিন্তু সমস্যা হল, করোনা-আবহে পুরকর একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। সে কারণে পুরকর আদায়ে বিশেষ ছাড় দেওয়ার প্রকল্প চালু করার প্রস্তাবও সম্প্রতি রাজ্য সরকারকে দিয়েছে পুরসভা।
পুরসভার আলো দফতরের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, টাকা কম থাকার কারণে একসঙ্গে সমস্ত জায়গায় বাতিস্তম্ভ লাগানোর ক্ষেত্রে অসুবিধা রয়েছে। তাই ধাপে ধাপে এই কাজ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু জায়গায় কাজ প্রায় শেষের পথে। এই কাজ তাড়াতাড়ি করার জন্য পুরসভা ইতিমধ্যেই দরপত্র ডেকেছে। আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অর্থ বরাদ্দ করা ছাড়াও রাজ্য সরকারের থেকেও পুরসভার পরিষেবামূলক কাজে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। ফলে সেই অর্থ বরাদ্দ হলে মাসখানেকের মধ্যেই শহরের সমস্ত বাতিস্তম্ভই ঠিক করে ফেলা যাবে বলে আশাবাদী পুর কর্তৃপক্ষ।
অন্য দিকে, শহরের বিভিন্ন এলাকায় কলকাতা পুরসভা ছাড়াও কেএমডিএ, সিইএসসি এবং হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্সেরও অনেক বাতিস্তম্ভ রয়েছে। সেই সব বাতিস্তম্ভের মেরামতির কাজ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলি নিজেরাই করবে বলে জানিয়েছে।