Cyclone Amphan

পরিষেবা নিয়ে ‘বঞ্চনা’, ক্ষুব্ধ সংযুক্ত এলাকার বাসিন্দারা

এখনও গাছ সরানো হয়নি বলে অভিযোগ আসছে পুর এলাকার বহু জায়গা থেকেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২০ ০৩:১৬
Share:

ঝড়ে লন্ডভন্ড।

ঝড়ে বিধ্বস্ত বিধাননগর পুর এলাকার অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা থেকে গাছ কেটে সরানো হয়েছে। অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে। জল সরবরাহও শুরু করা গিয়েছে। যদিও এখনও বিদ্যুৎহীন ওই পুর এলাকার রাজারহাট-গোপালপুর এবং সংযুক্ত এলাকার কিছু অংশ। ফলে সেখানে জলসঙ্কটও রয়ে গিয়েছে।

Advertisement

এখনও গাছ সরানো হয়নি বলে অভিযোগ আসছে পুর এলাকার বহু জায়গা থেকেই। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বিএইচ ব্লকে একটি বিশাল গাছ গিয়ে পড়েছিল তিনতলা বাড়ির উপরে। দু’দিনেও তা সরানো হয়নি বলে অভিযোগ করেন বাড়ির এক বাসিন্দা। তার পরেই স্থানীয় কাউন্সিলর অনিতা মণ্ডল পুর কর্মীদের নিয়ে গিয়ে শনিবার বিকেলে বিপজ্জনক ভাবে থাকা গাছটি কাটার ব্যবস্থা করেন।

আপৎকালীন পুর পরিষেবা নিয়ে ক্ষুব্ধ রাজারহাট-গোপালপুর এলাকা এবং সংযুক্ত এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সল্টলেককেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। অন্য অংশের কথা ভাবা হয়নি। শনিবার সকালে বিধাননগর ভেড়ি এলাকায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, গাছ, বিদ্যুতের তার সমেত পড়ে রয়েছে। জল নেই। অথচ পুরসভা সে সব সরাতে আসেনি। ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রবীর সর্দারের দাবি, ‘‘বড় গাছ যন্ত্র ছাড়া কাটা সম্ভব নয়। তাই সময় লাগছে। কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে।’’

Advertisement

পুরসভা জানিয়েছে, যে সব জায়গা বিদ্যুৎহীন থাকায় জল পাচ্ছে না। সেখানে জল পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি আরও একটি ভাবনা রয়েছে পুর প্রশাসনের। বিধাননগর পুর এলাকায় তিন হাজারের মতো গাছ পড়েছে। সেই সব গাছ কেটে কোথায় রাখা হবে এবং এত গাছ নিয়ে কী করা হবে, সেটাও বড় ভাবনা। সাধারণত ভেঙে পড়া গাছ পরে নিলাম ডেকে বিক্রি করা হয়। আমপানে ক্ষতি হয়েছে অসংখ্য মূল্যবান গাছের। সেই সব কাটা গাছ সুরক্ষিত ভাবে রাখা যে জরুরি, তা মানছেন বাসিন্দা থেকে পুর আধিকারিক সকলেই।

মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, এত বড় বিপর্যয় আগে ঘটেনি। কাউন্সিলর ও কর্মীরা একটানা কাজ করছেন। পড়ে যাওয়া গাছ অধিকাংশ জায়গা থেকেই সরানো হয়েছে। বিদ্যুৎ পরিষেবা ধাপে ধাপে চালু হচ্ছে। জল সরবরাহ স্বাভাবিক হচ্ছে। বিদ্যুৎ, মোবাইল সংযোগ কিছুই ছিল না। ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সময় লাগছে। সরকারি নিয়ম মেনেই ভেঙে পড়া গাছ নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement