Cyclone Amphan

এক লক্ষ গ্রাহক এখনও আঁধারে ।। কবে স্বাভাবিক, আঁধারে সিইএসসি-ও

আমপানের তাণ্ডবের পর সাত দিন কাটতে চললেও এখনও বিদ্যুৎহীন কলকাতার বিশাল এলাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২০ ১৮:২৮
Share:

বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে কাজ চলছে রাস্তায়। —নিজস্ব চিত্র।

এক লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। আমপানের দিন থেকে আজ পর্যন্ত। এই গ্রাহকদের বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে ঠিক কত দিন সময় লাগবে, তা নিশ্চিত করে বলতেই পারলেন না সিইএসসি কর্তৃপক্ষ। শনিবার তাঁরা জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবারের মধ্যে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সোমবার জানানো হয়েছিল, সব ঠিক হতে বুধবার লাগবে। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে অতটা নিশ্চিত করে আর দিনক্ষণ বলার দিকেই গেলেন না তাঁরা। সব রকমের চেষ্টা চলছে— এটুকুই জানালেন বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট (ডিস্ট্রিবিউশন) অভিজিৎ ঘোষ।

Advertisement

বুধবার ঘূর্ণিঝড় আমপান (প্রকৃত উচ্চারণ উম পুন ) আছড়ে পড়ার পর কলকাতার বিশাল এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। সাত দিন হতে চলল, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে ওঠা যায়নি। বেহালা, সরশুনা, টালিগঞ্জ, যাদবপুর, বজবজ, মহেশতলা, সন্তোষপুর, পর্ণশ্রী, রামগড়, গড়িয়া-র অনেক এলাকা এখনও বিদ্যুৎহীন। চলছে প্রবল জলকষ্ট। রোজ চলছে বিক্ষোভ। কবে এর শেষ হবে? অভিজিৎ বলেন, “আমরা দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আজ, মঙ্গলবারের মধ্যে ৯৭ শতাংশ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ১৫০টা দল কাজ করছে দিনরাত।”

গ্রাহকদের কাছে সহযোগিতা চেয়ে অভিজিৎবাবু বলেন, “এই ধরনের কাজে কিছুটা সময় লাগে। সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে কাজ চালাতে হয়। আমরা গ্রাহকদের থেকে সহযোগিতা পেয়েছি। ঝড়ের কারণে বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। সিইএসসি-র গ্রাহকের সংখ্যা ৩৩ লক্ষ। এক লক্ষ গ্রাহকের এখনও অসুবিধা হচ্ছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করে চলেছি। আর একটু সহযোগিতা করুন”— বললেন অভিজিত্।

Advertisement

আরও পড়ুন: গালওয়ানে সেনা তৎপরতা চিনের, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সঙ্ঘাতের পরিস্থিতি​

আরও পড়ুন: চিন কাঁটার মধ্যেই নতুন টানাপড়েন নেপালের সঙ্গে​

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement