বিদ্যুতের দাবিতে এলাকায় এলাকায় বিক্ষোভ-অবরোধ চলছে। নিজস্ব চিত্র।
৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। কলকাতার একটা বড় অংশে এখনও বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। ত্রাহি ত্রাহি রব উঠছে নানা প্রান্ত থেকে। বিদ্যুৎ না থাকায় গৃহস্থের নানা প্রয়োজনীয় কাজ মিটছে না। জনজীবন কার্যত বিপর্যস্ত। বিদ্যুতের দাবিতে এলাকায় এলাকায় বিক্ষোভ-অবরোধ চলছে। শহরবাসীর একটাই প্রশ্ন, কবে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হবে? কলকাতা-সহ একটা বড় অংশে বিদ্যুৎ পরিষেবা দেয় সিইএসসি। তারা জানাচ্ছে, কলকাতায় সর্বত্র আগের মতো পরিষেবা দিতে আগামী মঙ্গলবার হয়ে যেতে পারে।
কেন ব্যাহত হচ্ছে পরিষেবা? সিইএসসি জানিয়েছে, ভিন্রাজ্য থেকে অনেক কর্মী এখানে কাজ করেন। তাঁরা করোনা এবং লকডাউনের কারণে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। এ রাজ্যে দুর্যোগের আগে তাঁদের ফেরানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। আমপান (প্রকৃত উচ্চারণ উম পুন) এ রাজ্যে আছড়ে পড়ার পর, কোথাও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে। কোথাও গাছ পড়েছে। কোথাও আবার বিদ্যুতের বাক্সে জল ঢুকে গিয়েছে। তার জেরেই বিভিন্ন এলাকায় পরিষেবা দিতে অসুবিধা হচ্ছে। তবে দ্রুত যাতে আগের অবস্থায় ফেরা যায় তারই চেষ্টা করা হচ্ছে।সিইএসসি-র ভাইস প্রেসিডেন্ট (ডিস্ট্রিবিশন) অভিজিৎ ঘোষ বলেন, “আমরা সব রকম ভাবে চেষ্টা করছি। যেখানে বিদ্যুৎ নেই, সেখানে কাজ চলছে। কর্মীর অভাব রয়েছে। আগের অবস্থায় ফিরতে সোম-মঙ্গলবার হয়ে যাবে।”
আরও পড়ুন- ‘ভাড়াবাড়িতে ফিরতে পারব না’, ট্রেনের অপেক্ষায় মুম্বইয়ের ফুটপাতে ঠাঁই পরিযায়ীদের
তবে গ্রাহকদের অভিযোগ, সিইএসসি টাকা নিচ্ছে। তা-হলে পরিষেবা দিতে এত সময় লাগবে কেন? ঝড়ের পূর্বাভাস তো আগে থেকেই ছিল। কেন এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আগে থেকে ব্যবস্থা নিলে এ ভাবে দুর্ভোগে পড়তে হত না। বিদ্যুৎ না থাকায়, পাম্পে করে জল তোলা যাচ্ছে না। অনেকেরই মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। রাস্তায় পুরসভার ল্যাম্প পোস্টে আলো নেই। ফলে গোটা কলকাতার একটা বড় অংশ অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে। উত্তরের থেকেও দক্ষিণ কলকাতার অবস্থা আরও খারাপ। বেহালা, যাদবপুর, কসবা, গড়িয়া, ইএমবাইপাসের একাংশ, টালিগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় এখনও বিদ্যুৎ নেই।