বিরিয়ানির টেবিলেও দুর্ঘটনা নিয়ে কথা

শনিবার বিকেলে বৃষ্টি-বিপর্যস্ত কলকাতায় খাবার সরবরাহের অ্যাপে শহরের জনপ্রিয় বিরিয়ানি চেন-টির হদিস মিলছিল না কিছুতেই। তাতেও প্রশ্ন ওঠে, নামজাদা ওই বিরিয়ানি-সাম্রাজ্যে ছন্দপতন ঘটেনি তো?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৯ ০১:১৩
Share:

বিরিয়ানি চেনের পার্ক সার্কাসের শাখায় রোজকার মতোই বিকিকিনি। শনিবার সন্ধ্যায়। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য

সকাল থেকেই সংবাদমাধ্যম আর নেট-রাজ্যে জল্পনার শিরোনামে তাঁরা। পটভূমিতে একটি পথ দুর্ঘটনা!

Advertisement

শনিবার বিকেলে বৃষ্টি-বিপর্যস্ত কলকাতায় খাবার সরবরাহের অ্যাপে শহরের জনপ্রিয় বিরিয়ানি চেন-টির হদিস মিলছিল না কিছুতেই। তাতেও প্রশ্ন ওঠে, নামজাদা ওই বিরিয়ানি-সাম্রাজ্যে ছন্দপতন ঘটেনি তো? সন্ধ্যায় ওই বিপণির পার্ক সার্কাস শাখার এক কর্তা বলেন, ‘‘দুর্ঘটনাটি দুঃখের। তবে তার সঙ্গে দোকানের কীসের সম্পর্ক!’’ সপ্তাহান্তের কলকাতায় বিরিয়ানির যা চাহিদা দেখা যায়, তার তুলনায় এ দিন পার্ক সার্কাসের ওই দোকানে ভিড় কিছুটা কম ছিল সম্ভবত বৃষ্টির কারণেই।

গত দু’দশক ধরে কলকাতা বিরিয়ানি ঘরানার সঙ্গে কার্যত সমার্থক আরসালান চেন। আর এই নাম-মহিমার সঙ্গেই একাকার জনৈক তরুণ। আরসালানের অন্যতম কর্ণধার আখতার পারভেজের পুত্র আরসালানের নাম থেকেই সম্ভবত নামকরণ বিরিয়ানি চেনটির। দিনে দিনে যাদের সাম্রাজ্য বিস্তৃত হয়েছে পার্ক সার্কাস থেকে হাতিবাগান, চিনার পার্ক কিংবা শহর ছাড়িয়ে ডায়মন্ড হারবারেও। রয়্যাল, আমিনিয়া বা সিরাজ়-এর মতো শহরের সাবেক বিরিয়ানি-স্রষ্টাদের পাশাপাশি কুলীন গোত্রে তর্কাতীত ভাবে জায়গা করে নিয়েছে তুলনায় নবাগত আরসালানও।

Advertisement

এই বিরিয়ানি চেনের কর্তার পুত্র আরসালান পারভেজ শুক্রবার রাতে একটি দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছুটিতে এসে বেপরোয়া ভাবে একটি জাগুয়ার গাড়ি চালাচ্ছিলেন। আর সেই গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে ছিটকে যাওয়া মার্সিডিজ় বেন্‌জ়ের ধাক্কায় মারা যান দু’জন বাংলাদেশি তরুণ-তরুণী। রিপন স্ট্রিটে আরসালানের শাখায় শনিবার রাতেও এসেছিলেন সদর স্ট্রিটের একটি হোটেলের আবাসিক, ঢাকার বাসিন্দা এক দম্পতি। ‘‘বাংলাদেশেও কলকাতার এই বিরিয়ানি খুবই জনপ্রিয়।’’— দুর্ঘটনার খবর শুনে বলছিলেন তাঁরা। তাঁদের কথায়, ‘‘কলকাতায় বেড়াতে এসে দু’জন মারা গেলেন, শুনে খুবই খারাপ লাগছে।’’ বিরিয়ানির টেবিলেও দীর্ঘশ্বাসের ছোঁয়াচ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement