—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাত পোহালেই গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান। সাগরদ্বীপে যেতে তাই রবিবার রাত থেকেই কলকাতার বিভিন্ন অস্থায়ী শিবিরে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত পুণ্যার্থীরা। তাই সোমবার থেকে আগামী কয়েক দিন শহরের পরিবহণ পরিষেবায় তার প্রভাব পড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, সরকারি বাস তো বটেই, গঙ্গাসাগরে তীর্থযাত্রীদের পৌঁছে দিতে বিরাট সংখ্যায় বেসরকারি বাসও চলে গিয়েছে কাকদ্বীপ এবং সাগরদ্বীপে।
পরিবহণ দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, মেলা উপলক্ষে প্রায় ২০০টির বেশি সরকারি বাস তীর্থযাত্রীদের গঙ্গাসাগরে পৌঁছনোর কাজে লাগানো হয়েছে। কম করে আরও ১০০টি সরকারি বাসকে মেলার কাজ সংক্রান্ত বিষয়ে যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও, ৩০০টি বেসরকারি বাস মেলায় তীর্থযাত্রীদের যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করছে প্রশাসন। আরও ২০০টি বাস কলকাতা ও হাওড়া থেকে কাকদ্বীপের লট-৮ পর্যন্ত যাতায়াত করছে। রবিবার অন্যান্য মন্ত্রীদের সঙ্গে সাগরে গিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। কাকদ্বীপের লট-৮এ থেকে মেলার কাজ দেখভাল করছেন পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল। তবে পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরা একই সঙ্গে কলকাতা তথা শহরতলিতে পরিবহণের সংখ্যা পর্যাপ্ত করার দিকে নজর রেখেছেন। কারণ, গঙ্গাসাগর মেলার কারণে প্রতি বছরই জানুয়ারি মাসের এই সময়ে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ যাত্রীদের।
তবে এ বার পরিস্থিতি অন্য বারের তুলনায় অনেকটাই স্বাভাবিক বলে দাবি করেছেন বাস মিনি বাস সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘‘এ বার মহাকুম্ভ থাকায় গঙ্গাসাগরে কিছুটা ভিড় কম হবে বলেই আমরা মনে করছি। তাই গত কয়েক বছর বাসের যে অভাব সাগরমেলার সময়ে দেখা গিয়েছিল, এ বার তেমনটা হবে না। তাই যাত্রীদের আশ্বস্ত করতে চাই, বেসরকারি বাস পরিষেবা নিয়ে তাঁদের খুব একটা সমস্যায় পড়তে হবে না।’’ সিটি সাব আর্বান বাস সার্ভিসেসের নেতা টিটু সাহা বলেন, ‘‘আমাদের দুটো বিষয় নিয়েই কাজ করতে হয়। প্রথমত, সরকার গঙ্গাসাগর মেলার জন্য বাস চাইলে আমরা আমাদের সাধ্যমতো সাহায্য করি। আবার সাধারণ মানুষের যাতে সমস্যা না হয়, সেই কারণে শহরের সব প্রান্তেই চাহিদা মতো বাস চালানোর চেষ্টা করি। তবে গঙ্গাসাগর মেলার কারণে দুপুরের দিকে বেসরকারি বাস পেতে একটু সমস্যা হলেও সকাল, সন্ধ্যা ও রাতের সময় বাস পেতে সমস্যা হবে না।’’