গরমের সময়ে পরিস্রুত জলের সমস্যা বাড়ছে। প্রতীকী ছবি।
বাড়ছে জনসংখ্যা, পাল্লা দিয়ে বসতিও। ফলে চাহিদাও বাড়ছে, তবে তুলনায় জোগান কম। দমদম পুর এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের সার্বিক ছবিটা এমনই, অভিযোগ সেখানকার বাসিন্দাদের।
অভিযোগ পুরোপুরি না মানলেও পানীয় জলের সমস্যা যে রয়েছে, সে কথা কার্যত স্বীকার করেছেন দমদম পুর কর্তৃপক্ষ। তাই জলের সরবরাহ বাড়াতে নতুন করে ভূর্গভস্থ জল তোলার চারটি পাম্প বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে সেই জল বিভিন্ন কাজে দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য। ফলে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহে ঘাটতি থাকছেই। সেই অভাব পূরণে রাজ্য প্রশাসনের কাছে ইতিমধ্যে দরবারও করেছে পুরসভা।
স্থানীয়দের একাংশের কথায়, ‘‘গরমের সময়ে পরিস্রুত জলের সমস্যা বাড়ে। আগের থেকে জল সরবরাহ বাড়লেও তা পরিস্রুত আর ভূগর্ভের জলের মিশেল।’’ তাঁদের দাবি, এর স্থায়ী সমাধান দরকার। পুরসভা সূত্রের খবর, বরাহনগর-কামারহাটি জল প্রকল্প থেকে দৈনিক জল আসে সর্বাধিক ৩৫ লক্ষ গ্যালন। অথচ, পুর এলাকায় দৈনিক জলের চাহিদা ৪৮ লক্ষ গ্যালন। বাকি চাহিদা পূরণ করতে হয় ভূগর্ভের জল ব্যবহার করে। সোমনাথ ঘোষ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, ‘‘সকালে পরিস্রুত পানীয় জল, বাকি সময়ে কার্যত পরিস্রুত ও ভূগর্ভের জল মিশিয়ে সরবরাহ করা হয়। তাই অনেক সময়ে পানীয় জল কিনে খেতে হয়।’’ কর্মসংস্থান-সহ নানা কারণে অসংখ্য মানুষ এই পুরসভার পরিকাঠামো ব্যবহার করেন। ফলে পানীয় জলের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।
দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট জানান, গরমে জলের ব্যবহার বেশি হয়। সেই চাহিদা মেটাতে পরিকাঠামোর উন্নতি করা হয়েছে। জোগান বাড়াতে চারটি পাম্প বসানো হচ্ছে। তবে পুরসভার চেয়ারম্যান হরিন্দর সিংহ জানান, চাহিদা মতো পরিস্রুত পানীয় জল সব সময়ে মেলে না। গরমে তাই সমস্যা বাড়ে। রাজ্য প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। জল প্রকল্প তৈরি নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।