প্রতীকী ছবি।
নেতাজিনগরের বাসিন্দা, বৃদ্ধা গৃহকর্ত্রীকে খুনের আগে যৌন নিগ্রহের চেষ্টাও করা হয়েছিল। মাস দুয়েক আগে নেতাজিনগরে এক বৃদ্ধ দম্পতিকে খুনের অভিযোগে ধৃতকে জেরা করে এমনটাই জেনেছে পুলিশ। লালবাজার সূত্রের খবর, চার্জশিটে ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের পাশাপাশি যৌন নিগ্রহের চেষ্টার ধারাও যুক্ত হবে।
গত ২৯ জুলাই নেতাজিনগরে নিজের বাড়িতেই খুন হন বৃদ্ধ দম্পতি। লুটপাটের উদ্দেশ্যেই যে তাঁদের খুন করা হয়েছিল, প্রথম থেকেই সে ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের ঘটনার কয়েক দিন আগেই বাড়িতে প্লাস্টার ও রঙের কাজ করিয়েছিলেন ওই দম্পতি। সেই মিস্ত্রিদের জেরা করে লালবাজারের গোয়েন্দারা প্রধান সন্দেহভাজন মহম্মদ হামরুজকে বিহারের কাটিহার থেকে গ্রেফতার করেন। তাকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় দু’জনকেই। তবে খুনের আগে হামরুজ বৃদ্ধার যৌন নিগ্রহেরও চেষ্টা করেছিল। ৭১ বছর বয়সি বৃদ্ধার গলায় একটি দড়ি জড়ানো ছিল। পুলিশের সন্দেহ হয়, ওই দড়ির ফাঁস দিয়েই শ্বাসরোধ করে মারা
হয়েছিল তাঁকে।
ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জেনেছে, ২৯ জুলাই রাতে বৃদ্ধা বাড়ির সদর দরজা খুলতেই তাঁর গলা টিপে ধরে হামরুজ। তিনি বাধা দিতে গেলে তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় হামরুজের। তখনই বৃদ্ধার গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে তাঁর যৌন নিগ্রহের চেষ্টা করে হামরুজ। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ধৃতের বিরুদ্ধে শীঘ্রই চার্জশিট দেওয়া হবে। খুনের পাশাপাশি যৌন নিগ্রহের চেষ্টার ধারাও যুক্ত করা হবে।’’