প্রতীকী ছবি।
কংগ্রেসের একাংশ চেয়েছিল উপনির্বাচনে প্রার্থী না দিয়ে বামেদের সমর্থন করতে। কিন্তু দেরিতে হলেও প্রদেশ কংগ্রেসের সুপারিশ মেনে আসানসোল ও বালিগঞ্জে প্রার্থী দিয়েছিল এআইসিসি। উপনির্বাচনের ফলের প্রেক্ষিতে ফের প্রশ্ন উঠে গেল, জোট করে লড়লে কি বিজেপি ও তৃণমূলকে আরও চাপে ফেলা যেত? ভবিষ্যতের জন্য জোটের দরজা খোলা রাখার কথাও বললেন দু’দলের নেতৃত্ব।
বালিগঞ্জে সংগঠনের তেমন কোনও জোর ছাড়াও কংগ্রেস প্রার্থী কামারুজ্জামান চৌধুরী ৫.০৬% ভোট পেয়েছেন। আর সিপিএম পেয়েছে ৩০.০৬% ভোট। আসানসোলে কংগ্রেস অবশ্য একেবারেই দাগ কাটতে পারেনি। বাম ও কংগ্রেস উভয় শিবিরেরই নেতাদের একাংশ মনে করছেন, আসন সমঝোতা করে লড়লে কেবল পাটিগণিতের হিসেবে নয়, জোটের সমীকরণের আরও প্রভাব পড়ত বালিগঞ্জে। বিশেষত, সংখ্যালঘু ভোট আরও খানিকটা এক জায়গায় আনা যেত। তাতে যেমন তৃণমূল চাপে পড়ত, বিজেপিরও অসুবিধা বাড়ত। গত বিধানসভা নির্বাচনে জোট করে লড়ে বামেরা যা ভোট পেয়েছিল, এখন একক লড়াইয়ে তার চেয়ে বেশি পেয়েছে— এই সাদা পাটিগণিতের বাইরে বেরিয়ে ভোটকে দেখার কথা বলছেন ওই নেতারা।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম অবশ্য শনিবার বলেছেন, ‘‘প্রার্থী যে কেউ দিতে পারে। কিন্তু কংগ্রেসকে সতর্ক হতে হবে। তৃণমূল, বিজেপির মতো তাদের দলের নাম করেও আমাদের প্রার্থীকে আক্রমণ করা হয়েছে। আমরা কিন্তু তা করিনি।’’ তবে একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক সব শক্তিকে আমরা একজোট করার ডাক দিয়েছি। সদ্য পার্টি কংগ্রেসেও সেই আহ্বানই উঠে এসেছে।’’
প্র্দেশ কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‘বিষয়টা আমার জানা নেই। তবে এমন আক্রমণ যদি আমাদের দলের তরফে কেউ সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্যত্র করে থাকে, তা একেবারেই ঠিক হয়নি। খোঁজ নিয়ে সাংগঠনিক স্তরে ত্রুটি মেরামতের চেষ্টা করব।’’ প্রদীপবাবুরও মত, ‘‘বাংলায় ভবিষ্যতের জন্য বামপন্থীদের নিয়ে একসঙ্গে লড়াই করার রাস্তা আমাদের খুলে রাখতেই হবে।’’ কংগ্রেসের বড় অংশেরই মত, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আরও উদ্যোগী হয়ে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের সঙ্গে আলোচনায় এগোলে সমঝোতার রাস্তা ফের প্রশস্ত হতে পারে।