police

রাতের শহরে পুলিশি অনিয়মে হস্তক্ষেপের নির্দেশ সিপি-র

সোমবার কলকাতা পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র বাহিনীর বিভিন্ন স্তরের আধিকারিক, থানা এবং ট্র্যাফিক গার্ডের ওসিদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এই নির্দেশ দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২১ ০৬:২১
Share:

—ফাইল চিত্র।

ডিউটি শেষ করে রাতে বাড়ি ফেরার পথে কোনও পুলিশকর্মীকে অনিয়ম করতে দেখলে তৎক্ষণাৎ গাড়ি থামিয়ে তাতে হস্তক্ষেপ করার জন্য থানার ওসি এবং অতিরিক্ত ওসিদের নির্দেশ দিল লালবাজার। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট থানা বা লালবাজারের কন্ট্রোল রুমে সেই সংক্রান্ত পুরো ঘটনা রিপোর্ট করার কথাও বলা হয়েছে ওসি এবং অতিরিক্ত ওসিদের। পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার কলকাতা পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র বাহিনীর বিভিন্ন স্তরের আধিকারিক, থানা এবং ট্র্যাফিক গার্ডের ওসিদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এই নির্দেশ দেন।

Advertisement

গভীর রাতে বাড়ি ফেরার পথে একাধিক থানা এলাকা পেরোতে হয় ওসি এবং অতিরিক্ত ওসিদের। অন্য দিকে, ওই সময়ে শহরের পথে হাতে গোনা মাত্র কয়েক জন পুলিশকর্মীই পাহারায় থাকেন। অভিযোগ, সেই সুযোগে রাতের টহলদারিতে থেকে বেআইনি কাজকর্ম করে থাকেন কিছু পুলিশকর্মী। তাই লালবাজারের নির্দেশ, এ বার থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় অবাঞ্ছিত কোনও কাজকর্ম নজরে পড়লে ওসি এবং অতিরিক্ত ওসিরা যেন তাতে হস্তক্ষেপ করেন। পুলিশের ভাবমূর্তি ভাল করতেই এই নির্দেশ বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে রাতে রাস্তায় থাকা পুলিশকর্মীদের উপরে নজরদারিও করা যাবে বলে মনে করছেন বাহিনীর অনেকেই।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে কাঁকুড়গাছিতে পুলিশের একটি টহলদারি গাড়ি জোর করে টাকা আদায় করেছিল বলে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় (যে ভিডিয়োর সত্যতা আনন্দবাজার পত্রিকা যাচাই করেনি)। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকার মানুষ পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। তার কিছু দিন পরেই রবীন্দ্র সরোবর থানার এক সার্জেন্ট বেপরোয়া ভাবে বাইক চালিয়ে এক যুবককে জখম করেন। সেই ঘটনার জেরেও উত্তেজনা ছড়ায়। এ দিনের বৈঠকের পরে এক পুলিশকর্তা বলছেন, ‘‘কমিশনার কোনও উদাহরণ দেননি। কিন্তু তাঁর কথা থেকে বুঝেছি, তিনি ওই ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তাই রাতে কোনও রকম অবাঞ্ছিত ঘটনা দেখলে যাতে বাহিনীর আধিকারিকেরা নিজের এলাকা নয় বলে চলে না যান, সে জন্যেই ওই নির্দেশ বলে মনে করা হচ্ছে।’’

Advertisement

লালবাজার সূত্রের খবর, বাহিনীর গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়াতে ইতিমধ্যেই একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছেন কমিশনার। সেই সঙ্গে অনলাইনে পুলিশের ডিউটির ব্যবস্থা করার চেষ্টাও চলছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে কোনও বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা করা হলে সেই সংক্রান্ত নির্দেশ শেষ মুহূর্তে জানতে পারেন পুলিশকর্মী ও আধিকারিকেরা। এর ফলে অনেক সময়েই সমস্যায় পড়েন তাঁরা। অনলাইনে ওই ব্যবস্থা চালু হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই নির্দেশ বাহিনীর সদস্যদের কাছে পৌঁছবে। খুব দ্রুত এই অনলাইন ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement