পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা।—ফাইল চিত্র।
কলকাতার ট্রাফিক বিভাগ এবং থানার কর্মীদের মধ্যে সমন্বয় আরও বাড়ানোর উপর জোর দিলেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। ঈদের পুলিশি বন্দোবস্ত সংক্রান্ত বিশেষ বৈঠকে সোমবার পুলিশ কমিশনার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ওই সমন্বয়ের উপর গুরুত্ব দেন।
সূত্রের খবর, নগরপাল এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত কলকাতা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক থেকে শুরু করে থানার ওসিদের স্পষ্ট করে দেন, যে কোনও খবর বা ঘটনা যতই ছোট হোক না কেন তা পর্যাপ্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। অনেক সময় কোনও ঘটনা ছোট বলে অবহেলা করার পর দেখা যায়, ওই সামান্য ঘটনা থেকেই বড় ঘটনার জন্ম নেয়। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, সেটা আটকানোর জন্যই নগরপালের নির্দেশ, সমস্ত ঘটনাকেই গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই সঙ্গে তাঁর নির্দেশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য পুলিশের যা যা করণীয় তাই করবে তাঁর বাহিনী। পুলিশ সূত্রে খবর, এ প্রসঙ্গেই অনুজের পরামর্শ, কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের কর্মীরা রাস্তায় থাকেন। অনেক ঘটনাই তাঁদের সামনে ঘটে। সংশ্লিষ্ট থানার আগে তাঁরা জানতে পারেন। তাঁদের সঙ্গে থানার বাহিনীর সমন্বয় ভাল হলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারবে পুলিশ।
আগামী বুধবার ঈদের দিন কলকাতা শহরের ৬২৬টি জায়গায় নমাজ পড়া হবে। তার মধ্যে ১২১টি বড় জমায়েত। ওই দিন কলকাতা শহরের রাস্তায় থাকবেন ২২ জন উপনগরপাল-সহ বাহিনীর পদস্থ কর্তারা। নাখোদা মসজিদে নমাজের জমায়েতে থাকবেন দু’জন উপনগরপাল। রেড রোডে থাকবেন তিন জন উপনগরপাল এবং যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার এক আধিকারিক। এ ছাড়াও থাকছে ২৫টি ডিভিশনাল মোবাইল বাহিনী এবং ৬টি কুইক রেসপন্স টিম। বাহিনীকে রাস্তা, নমাজের জমায়েত স্থলের পাশাপাশি পার্ক, শপিং মল এবং গঙ্গার ঘাট সংলগ্ন এলাকাতেও নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। এক আধিকারিক বলেন, ‘‘উৎসবের দিন নমাজের পর দুপুরের দিকে মানুষ ওই সব জায়গায় জড় হন। সেই কারণেই বাড়তি নজরদারি।” সেই নজরদারিতে থাকবে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বাহিনী এবং কমব্যাট ফোর্সও।
আরও পড়ুন: জগদ্দলে বিশ্ববাংলার ‘ব’ কেটে রাম, তদন্তে পুলিশ
আরও পড়ুন: মিলল না সারদার লাল ডায়েরি, সিবিআই জেরার মুখে আরও এক সিট সদস্য