নগরপাল অনুজ শর্মা।
জুলাইয়ের ৫ থেকে ১৫— দশ দিনেই কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তের থানায় জমা পড়েছে ১০টির বেশি চুরির অভিযোগ। গত এক মাসের পরিসংখ্যান ধরলে সংখ্যাটা অনেক বেশি। শহরে বাড়তে থাকা চুরির একের পর এক অভিযোগ নিয়ে এ বার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন খোদ নগরপাল অনুজ শর্মা।
শহরে এখন রমরমা চোরেদের বাজার। বেলেঘাটার দীপশ্রী দত্ত জানলা খুলে রাতে ঘুমিয়েছিলেন। সকালে উঠে দেখেন, খোলা জানলা দিয়ে হাপিশ হয়ে গিয়েছে ল্যাপটপ, ড্রয়ারে রাখা কিছু গয়না। ঘটনাটি ৭ জুলাইয়ের। একই রকম ভাবে ওই রাতেই কড়েয়া থানা এলাকার গুরুসদয় দত্ত রোডে একটি মন্দিরে হানা দেয় চোররা। পর পর চুরির ঘটনা ঘটেছে নেতাজি নগর, যাদবপুর, সার্ভে পার্ক থানা এলাকায়। বেলগাছিয়া পশু হাসপাতালের ছাত্রদের হস্টেলেও ঘটেছে চুরির ঘটনা।
সোমবার নগরপাল অনুজ শর্মা এ মাসের ক্রাইম মিটিংয়ে ওই বাড়তে থাকা চুরি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে থানা এবং গোয়েন্দা বিভাগের চুরি দমন শাখার আধিকারিকদের সতর্ক হতে নির্দেশ দেন। সূত্রের খবর, চুরির ঘটনাগুলির দ্রুত তদন্ত করে কিনারা করে চোরদের পাকড়াও করার নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার। গোয়েন্দা বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রতি বছরই বর্ষা নামার পর থেকে পুজো পর্যন্ত চুরির অভিযোগ বাড়ে। ওই সময় রাজ্যের বাইরে থেকেও চোরের দল ঘাঁটি গাড়ে শহরে। অন্য রাজ্যের মতো চোরের দল আসে বাংলাদেশ থেকেও।’’ ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে এ রকম চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে খুন করতেও দ্বিধা করেনি ওই চোরেরা। এ রকম বেশ কয়েকটি ঘটনার জেরেই গোড়া থেকেই চুরি রুখতে আরও সক্রিয় হতে নির্দেশ নগরপালের।
আরও পড়ুন, মেট্রো তদন্তে সিট গঠনের সিদ্ধান্ত, মেট্রোভবনে পাঠানো হল চিঠি
এ দিনের বৈঠকে নগরপাল অবশ্য তাঁর বাহিনীর প্রশংসাও করেছেন বেপরোয়া বাইক রোখার ক্ষেত্রে তাঁদের লাগাতার অভিযান নিয়ে। সূত্রের খবর, নগরপাল বাহিনীর এই লাগাতার অভিযানকে সাফল্য হিসাবে বর্ণনা করে বলেন যে এই ভাবেই এই অভিযান চালিয়ে যেতে হবে। এর ফলে ইতিমধ্যেই বেপরোয়া বাইকের দাপট যে আগের থেকে অনেকটা কমেছে সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি। নগরপাল ইঙ্গিত দেন যে কলকাতা পুলিশের এই অভিযান নিয়ে প্রশংসা এসেছে খোদ নবান্ন থেকেও।
আরও পড়ুন, ভরসা সেন্সর? হাত বাড়ালেই বিপদের শঙ্কা
বাহিনীর গোটা মাসের কাজের হিসাব নিকেশের বাইরে এ দিনের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ ছিল ২১ শে জুলাইয়ের জন্য। কারণ আগামী রবিবার ২১ জুলাই। ওই দিন শাসক দলের সমাবেশ নিয়েও সমস্ত আধিকারিকদের সক্রিয় এবং সতর্ক হতে নির্দেশ দেন নগরপাল। এ সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে সমর্থকরা জমায়েত হতে শুরু করবেন শহরে শহিদ দিবস উপলক্ষে। প্রথম থেকেই পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা এবং নজরদারি রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
(কলকাতার ঘটনা এবং দুর্ঘটনা, কলকাতার ক্রাইম, কলকাতার প্রেম - শহরের সব ধরনের সেরা খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।)
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।