ফাইল চিত্র।
সপ্তাহ দুয়েক আগে রেড রোডে আহত অবস্থায় পড়েছিল কলকাতা মাউন্টেড পুলিশের একটি ঘোড়া। তাকে দেখতে মঙ্গলবার বিকেলে এস এন ব্যানার্জি রোডে ঘোড়সওয়ার পুলিশের কার্যালয়ে হাজির হন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। মাউন্টেড পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মেয়ে ঘোড়াটির অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। ঘোড়াশালের অন্য ঘোড়াদের দেখার পাশাপাশি, আহত ঘোড়াটির চিকিৎসার যাতে কোনও ত্রুটি না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখার কথা বলেছেন পুলিশ কমিশনার।
কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, গত ২৫ মে বিকেলে মাউন্টেড পুলিশের কার্যালয় থেকে ‘ইন্ডিয়ান ডিলাইট’ নামে ১৪ বছরের ওই ঘোড়াটিকে ময়দানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সে সময়ে ময়দানে চরতে থাকা একটি পুরুষ ঘোড়া তার কাছাকাছি চলে এলে আচমকা ‘ইন্ডিয়ান ডিলাইট’ প্রচণ্ড লাফালাফি শুরু করে। পিঠের সওয়ার পুলিশকর্মীকে মাটিতে ফেলে দিয়েই দৌড়তে শুরু করে সে। পিছু নেয় পুরুষ ঘোড়াটিও। পুলিশ জানিয়েছে, রেড রোডের কাছে এসে মেয়ে ঘোড়াটির লাগামের দড়ি পুরুষ ঘোড়াটির মুখে আটকে যায়। সে সময়েই ‘ইন্ডিয়ান ডিলাইট’-এর মুখে-পেটে বার বার পা দিয়ে আঘাত করে অপর ঘোড়াটি। এর ফলে তার খুলির ও নাকের হাড় ভেঙে যায়। পেটেও গভীর ক্ষত হয়। পেটে জল ও রক্ত জমে যায়।
সে দিনই আহত ঘোড়াটিকে এস এন ব্যানার্জি রোডের ঘোড়াশালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শুরু হয়। রাতে হয় অস্ত্রোপচারও। পুলিশ কমিশনারের পরামর্শ মেনে বেলগাছিয়ার প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু চিকিৎসকেরা ঘোড়াটিকে দেখে যান।
তবে মাউন্টেড পুলিশ সূত্রের খবর, ঘোড়াটির অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। নিয়মিত স্যালাইন চলছে। দুর্ঘটনার পরের দিনই ঘোড়সওয়ার পুলিশের ওসি অভ্রকিশোর চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করে এই বিষয়ে খবর নিয়েছিলেন কমিশনার। বুধবার কলকাতা পুলিশের আরও দুই পদস্থ কর্তা অখিলেশ চতুর্বেদী এবং রূপেশ কুমারকে নিয়ে সেখানে যান তিনি। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘোড়াদের চিকিৎসার জন্য কী ভাবে সেখানে আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায়, সে বিষয়ে মাউন্টেড পুলিশের ওসি-কে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলেছেন কমিশনার।