বেকসুর খালাসের ঘটনায় তদন্তের পুনর্মূল্যায়ণের নিদান দিলেন নগরপাল অনুজ শর্মা। নিজস্ব চিত্র
কোনও মামলায় অভিযুক্তকে আদালত বেকসুর খালাস ঘোষণা করলে সেই তদন্তের পুনর্মূল্যায়ণ করতে হবে। দেখতে হবে ওই মামলায় তদন্তে কোনও গাফিলতি বা খামতি ছিল কি না। সোমবার বছরের প্রথম ক্রাইম কনফারেন্সে এমনটাই নির্দেশ দিলেন কলকাতার নগরপাল অনুজ শর্মা।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) প্রকাশিত দেশের অপরাধের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালেও কলকাতা দেশের সবচেয়ে নিরাপদ শহরগুলির একটি। এ দিন অনুজ শর্মা বাহিনীকে মনে করিয়ে দেন যে, আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। শহরে আরও নজরদারি বাড়াতে হবে। সূত্রের খবর, এ দিন তিনি আধিকারিকদের রাতের টহলদারিতে আরও গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন। বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত বেকসুর খালাস হয়ে গেলেই সেই ফাইল বন্ধ না করে, খুঁটিয়ে তদন্তের খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখতে বলেন অনুজ শর্মা। প্রয়োজনে সরকারি আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করারও নির্দেশ দেন বলে সূত্রের খবর।
এ দিনও নগরপাল থানা এবং গোয়েন্দা বিভাদের আধিকারিকদের শহরে হয়ে যাওয়া বিভিন্ন চুরির ব্যপারে সতর্ক করেন। গত তিন মাসে শহরে ক’টি চুরির ঘটনা ঘটেছে, তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, চোরাই মাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে কি না তার রিপোর্ট পরের ক্রাইম কনফেরান্সে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন নগরপাল। এর আগেও একটি ক্রাইম কনফেরান্সে তিনি আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন চুরির ঘটনায় যে চোরাই মাল কিনছে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।
অনুজ এ দিনও ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকদের বাসে ওঠা-নামার ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা কমানোর জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করতে বলেন। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, বাসে ওঠা বা নামার সময় যাত্রীর অসাবধানতা বা চালকের অসতর্কতায় প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটেছে। এর পরেই পুলিশ কমিশনার ট্রাফিকের আধিকারিকদের ওই বিষয়ে সতর্ক হওয়ার কথা বলেন।
লালবাজার সূত্রে খবর, এ দিন কমিশনার ট্রাফিক আধিকারিকদের মৃদু ভর্ৎসনা করেই মন্তব্য করেন, শুধু পোস্টার এবং স্টিকার লাগিয়ে জনসচেতনতা গড়ে তোলা যাবে না বা পুলিশের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। তিনি পরামর্শ দেন, শহরের কোথায় কোথায় ওই ধরের দুর্ঘটনা ঘটছে তা চিহ্নিত করতে। এর পর সেই জায়গাগুলো পরিদর্শন করে দেখতে হবে, ঠিক কী ধরনের ব্যাবস্থা নিলে দুর্ঘটনা রোধ করা যাবে। সেই অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করতে নির্দেশ দেন নগরপাল।