জোকার ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর বিকেলের দিকে অনুব্রতকে নিয়ে আসা হয় কলকাতা বিমানবন্দরে। সেখান থেকে উড়ানে দিল্লি। —প্রতীকী চিত্র।
আসানসোল থেকে কলকাতা হয়ে দিল্লি পৌঁছে গেলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। দিল্লি বিমানবন্দরে বিমানটি পৌঁছয় রাত ৮টা ৫৪ মিনিটে। সেখানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র ঘেরাটোপে দেখা যায় গরু পাচার মামলায় ধৃত কেষ্ট। সূত্রের খবর, দিল্লিতে আবার এক দফা স্বাস্থ্যপরীক্ষা হবে অনুব্রতের। এর পর বুধবার রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে তোলা হবে তৃণমূল নেতাকে। সেখানে অনুব্রতকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে চাইতে পারে ইডি।
মঙ্গলবার সকালে পুলিশি প্রহরায় আসানসোল জেল থেকে বের করা হয় অনুব্রতকে। এর পর তাঁকে নিয়ে কনভয় রওনা দেয় কলকাতার দিকে। জোকার ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর বিকেলের দিকে অনুব্রতকে নিয়ে আসা হয় কলকাতা বিমানবন্দরে। সেখানে তিনি জানান, তাঁর শরীর খারাপ লাগছে। শ্বাসকষ্টের সমস্যার কথাও জানান তিনি। বেশ কয়েক বার ইনহেলার নিতেও দেখা যায় তাঁকে। তবে এ প্রসঙ্গে ইডি কোনও মন্তব্য করেনি। বিমানে ওঠার আগে ভিআইপি লাউঞ্জে বসে অনুব্রতকে এক কাপ লাল চা খেতে দেখা গিয়েছে বলে বিমানবন্দর সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অগস্ট মাসে গ্রেফতার হন অনুব্রত। বেশ কয়েক বার জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। কিন্তু ইডি তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। এর পর দিল্লিযাত্রা আটকাতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতা। কিন্তু গত শনিবার আদালত সেই আর্জি খারিজ করে। পাশাপাশি দিল্লি এবং কলকাতা হাই কোর্টে আবেদনে তথ্যগোপন করায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করে। হাই কোর্ট জানায় অনুব্রতকে ইডি দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে। তবে তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে কলকাতার কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে। পাশাপাশি বিমানযাত্রার সময়ও তাঁর সঙ্গে এক জন চিকিৎসককে রাখতে হবে।
সেই অনুযায়ী রবিবার ইডি তোড়জোড় শুরু করলেও দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সঙ্গে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের টানাপড়েনে থমকে যায় অনুব্রতের কলকাতায় আসা। হস্তক্ষেপ করে বিশেষ আদালত। তার পর মঙ্গলবার আসানসোলের সংশোধনাগার থেকে কলকাতা হয়ে দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া গরুপাচার মামলায় ধৃত কেষ্টকে।