—প্রতীকী চিত্র।
ফের কোভিড রোগীর সৎকার ঘিরে জটিলতা। প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর তা কাটল। বেহালা সাহাপুরের পর এ বার কেষ্টপুরের সমরপল্লি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে দেহ ঘরে পড়ে থাকলেও প্রশাসনেক তরফে তা নিয়ে যাওয়ার কোনও সাহায্য মেলেনি বলে অভিযোগ। স্থানীয় এক চিকিৎসক ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ দেওয়ার পরেও শুক্রবার বেলা পর্যন্ত ঘরেই পড়েছিল ওই বৃদ্ধার দেহ। তার পরে পুরসভার তরফে দেহ সৎকার করার উদ্যোগ নেওয়া হয় আইসিএমআর-এর নিয়ম মেনে।
বাগুইআটি থানা এলাকার সমরপল্লির বাসিন্দা ছিলেন ওই বৃদ্ধা। পরিবারের অভিযোগ, কয়েক দিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন। করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়িতেই তাঁর মৃত্যু হয়। যে হেতু বাড়িতেই মারা গিয়েছেন, তাই ডেথ সার্টিফিকেট পেতে দেরি হচ্ছিল।
এ দিন সকালের দিকে স্থানীয় এক চিকিত্সক ডেথ সার্টিফিকেট দেন। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতায় বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দেহ বাড়িতেই পড়েছিল। পরে প্রশাসনের তরফে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই ধরনের ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ঝুঁকি থেকে যায়। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ডেথ সার্টিফিকেট না পাওয়া গেলে দেহ সৎকার করা যায় না। সে ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানতে হয়। যখন এ বিষয়ে খবর মিলেছে, দ্রুত ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মায়ের বদলে অন্য মহিলার দেহ দিল মর্গ, কাঠগড়ায় হাসপাতাল-পুরসভা
আরও পড়ুন: তৈরি হবে ১০ কোটি করোনার টিকা, বিল গেটসের সংস্থার সঙ্গে চুক্তি ভারতীয় সংস্থার
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)