প্রতীকী চিত্র।
পরিবেশবান্ধব জ্বালানি (সিএনজি) শহরে আনতে পাইপলাইন বসানোর জন্য জমি ব্যবহারের অধিকার (রাইট অব ইউজ়ার বা আরওইউ) প্রয়োজন। কিন্তু এ রাজ্যে জমি অধিগ্রহণের কাজের গতি যে অত্যন্ত শ্লথ, তা জাতীয় পরিবেশ আদালতকে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গেল (ইন্ডিয়া) লিমিটেড। যদিও ‘গেল’-এর সেই দাবিকে নাকচ করেছে রাজ্য, যা নিয়ে পারস্পরিক চাপানউতোরের ঘটনা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ ও পাইপলাইন বসানোর ক্ষেত্রে কত দিন লাগতে পারে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনও সময়সীমা উল্লেখ করতে না পারায় এ বার রাজ্যকে ভর্ৎসনা করল পরিবেশ আদালত।
বুধবার লিখিত নির্দেশে আদালত জানিয়েছে, প্রকল্পের কাজ শেষের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমার উল্লেখ করতে না পারার রাজ্যের ‘অক্ষমতায়’ তারা রীতিমতো ‘বিস্মিত’! দ্রুত জমি অধিগ্রহণ করে তা ব্যবহারের অধিকার ‘গেল’-কে দেওয়ার পাশাপাশি, প্রয়োজনের ভিত্তিতে পাইপলাইন বসানোর অভিমুখের পরিবর্তন এবং সে জন্য কত সময় লাগতে পারে, সে সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট অ্যাকশন প্ল্যান রাজ্যকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ৭ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
শহরে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি আনার কাজে কেন এত দেরি হচ্ছে, তা নিয়ে রাজ্য ও ‘গেল’ দু’পক্ষের কাছেই জানতে চেয়েছিল আদালত। ‘গেল’ নিজেদের হলফনামায় জানিয়েছিল, জমি অধিগ্রহণের কাজ এ রাজ্যে ঢিমেতালে এগোচ্ছে। সে সঙ্গে আরও জানিয়েছিল, উত্তর ২৪ পরগনায় সিএনজি-র পাইপলাইনের অভিমুখ পরিবর্তন করা দরকার। তারই পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ আদালত রাজ্যকে একটি অ্যাকশন প্ল্যান জমা দিতে বলে। কিন্তু তার পরেও তা জমা না পড়ায় এ দিনের লিখিত নির্দেশে আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করে জানিয়েছে, এই ঘটনা ‘দুর্ভাগ্যজনক’। এমনকি, রাজ্যের তরফে জমা দেওয়া হলফনামায় প্রকল্পের কাজে অগ্রগতির কোনও সুনির্দিষ্ট দিশা নেই বলেও মন্তব্য করেছে আদালত।
আরও পড়ুন: বিসর্জনের প্রস্তুতিতে নজর থাকছে ভিড়ে
আরও পড়ুন: কল সেন্টার খুলে প্রতারণা, ধৃত সাত
তবে উত্তর ২৪ পরগনার মতো ঘনবসতি এলাকায় পাইপলাইন বসানোর জন্য বিকল্প জমির সন্ধানে রাজ্য কতটা সক্রিয় হবে, তা নিয়ে সংশয়ে পরিবেশকর্মীরা। এক পরিবেশকর্মীর কথায়, ‘‘ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এড়িয়ে পাইপলাইন বসাতে যে রি-রুটিংয়ের প্রয়োজন, তা নিয়ে রাজ্যকে আগেই বলেছিল আদালত। কিন্তু তার পরেও সেটা হল কোথায়?’’ সংশ্লিষ্ট মামলার আবেদনকারী পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের কথায়, ‘‘পাইপলাইন বসানোর জন্য রাজ্য আদৌ ফাঁকা জমি খুঁজবে তো? এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে আগামী ২০ বছরেও এখানে সিএনজি আসার কোনও সম্ভাবনা নেই।’’
আরও পড়ুন: কিশোরকে প্রহারে অভিযুক্ত চার বন্ধু