প্রতীকী ছবি
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন বিধাননগর পুরসভার ছ’নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুভাষ বসু (৬৩)। বুধবার ভোরে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে।
পুরসভা সূত্রের খবর, গত ২৪ জুলাই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাতেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এ দিকে সুভাষবাবুর স্ত্রী এবং ছেলেও করোনা উপসর্গ নিয়ে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, আজ, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সব বিধি মেনে পুর ভবনে প্রয়াত কাউন্সিলরের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হবে।
তাঁর মৃত্যুতে ফেসবুকে ও টুইট বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, তৃণমূলের সর্বভারতীয় যুব সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শোক প্রকাশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী টুইটে জানান, যাঁরা ঝুঁকি নিয়েও সামনে থেকে সাহসের সঙ্গে কাজ করছিলেন, তাঁদের এক জন সুভাষ। কাউন্সিলরের পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীদের সমবেদনা জানান তিনি। বিধাননগরের মেয়র শোকবার্তায় জানান, ‘‘প্রয়াত কাউন্সিলরের পরিবারের প্রতি রইল সমবেদনা। সুভাষের চলে যাওয়া করোনার বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও সুসংহত করুক। এটাই প্রার্থনা।’’
এ দিকে, বিধাননগরে করোনার রেখচিত্র কখনও নামছে তো কখনও উঠছে। পুরসভা সূত্রের খবর, ৪ জুলাই পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২১৯৫। সুস্থ হয়েছেন ১১২১ জন। সুস্থতার পরিসংখ্যান আশা জাগালেও দৈনিক আক্রান্তের গড় চিন্তা বাড়াচ্ছে পুরসভার।
শুধু ৪ জুলাইয়েই ১৩৫ জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। সূত্রের খবর, এক দিনের নিরিখে এখনও পর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ। মেয়র পারিষদ প্রণয় রায় জানান, কোনও দিন আক্রান্ত বাড়ছে, তো পরের দিন কমছে। এক এক দিন অনেক টেস্টের রিপোর্ট একসঙ্গে চলে আসাই মূলত পরিসংখ্যানের এই অসামঞ্জস্যের একটি কারণ।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)