পুরকর্মীর দিকে আঙুল তুলে দিবাকর চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র
তাঁর স্ত্রী হাওড়া পুরসভার ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। সেই ওয়ার্ডে সাফাইকর্মীর ঘাটতি কেন হচ্ছে, তা নিয়ে ‘জবাবদিহি’ চাইতে গিয়েছিলেন ওই যুবক। অভিযোগ, পুরকর্মীকে ধমক দিয়ে টেবিল থেকে কাগজপত্র ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন ওই যুবক। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া পুরসভার বেলুড় ওয়ার্ড অফিসে। পরে শাসকদলের ওই কাউন্সিলরের স্বামীর সেই ভিডিও ফুটেজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
হাওড়া পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিন সকালে কয়েক জন যুবককে সঙ্গে নিয়ে ওয়ার্ড অফিসে হাজির হন কাউন্সিলর সীমা ভৌমিকের স্বামী দিবাকর চক্রবর্তী। তিনি জঞ্জাল সাফাই বিভাগের এক কর্মীর থেকে জানতে চান, কেন রোজ সাফাইকর্মী কম পাঠানো হচ্ছে। অভিযোগ, এর পরেই তিনি ওই কর্মীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেন। হুমকির সুরে বলেন, ‘‘কাউন্সিলরকে কর্মীর তালিকা দিতে বলা হলেও তা কেন এখনও দেওয়া হয়নি?’’ ফুটেজে দেখা গিয়েছে, এর পরেই দিবাকর টেবিল থেকে ফাইল টেনে ফেলে দিচ্ছেন।
এমন আচরণ যে ঠিক হয়নি, তা মেনে নিয়ে সীমা বলেন, ‘‘আমাকে কিছু না জানিয়েই ওয়ার্ডের সাফাইকর্মী কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কারণ জানানো হচ্ছে না।’’ তাঁর দাবি, এ দিন ওই ওয়ার্ডের বজরংবলী লোহা বাজারে গ্যাস বেরোনোর পরে সাফাইকর্মীদের কাজে লাগাতে গিয়ে দেখা যায়, কর্মী কম। সীমার দাবি, ‘‘আমার শরীরটা ভাল ছিল না। তাই দিবাকর কথা বলতে যায়। ওই পুরকর্মীই প্রথমে বাজে ব্যবহার করেন।’’ এই ঘটনার বিষয়ে মেয়র, পুর কমিশনার ও বিধায়কের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন বেলুড়ের ওই অফিসের জঞ্জাল সাফাই বিভাগের কর্মীরা। মেয়র রথীন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এমন ঘটনা অভিপ্রেত নয়। অত্যন্ত দুঃখজনক। অভিযোগ এখনও হাতে পাইনি। পেলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’