Shyampukur

কোয়রান্টিন থেকে বেরিয়েই কেনাকাটা, আপত্তি পড়শিদের

শ্যামপুকুর থানা এলাকার আট নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মী দত্ত লেনের বাসিন্দা ওই পরিবারের এক সদস্য গত ২১ জুলাই হাসপাতালে মারা যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২০ ০২:২৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

কোভিডের উপসর্গ নিয়ে মারা গিয়েছেন বাড়ির এক সদস্য। তার পরে গোটা পরিবারের পরীক্ষা করানো হলে পাঁচ জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ ও তিন জনের নেগেটিভ আসে। এর পরেই শুরু হয় সমস্যা। অভিযোগ, ওই পরিবারের অনেকেই বাইরে বেরোচ্ছিলেন বলে আপত্তি জানান পড়শিদের একাংশ।

Advertisement

ওই পরিবারের প্রত্যেকেরই এখন হোম কোয়রান্টিনে থাকার কথা। বাড়িতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কথা পুলিশ কিংবা ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটরের। ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর জানান, ওই এলাকার বহু বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত। সকলের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নেওয়া সম্ভব নয়। আর থানার বক্তব্য, তাঁরা ফোন নম্বর দিয়ে এলেও ওই পরিবার যোগাযোগ করেনি।

শ্যামপুকুর থানা এলাকার আট নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মী দত্ত লেনের বাসিন্দা ওই পরিবারের এক সদস্য গত ২১ জুলাই হাসপাতালে মারা যান। এর পরেই তাঁর স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে এবং দিদির করোনা পরীক্ষা করানো হলে ২৪ জুলাই জানা যায়, সকলেই পজ়িটিভ। পরীক্ষা করানো হয় মৃতের দাদার পরিবারেরও। তাঁদের তিন জনের নেগেটিভ এলেও এক জনের পজ়িটিভ আসে। ওই পরিবারের দাবি, আক্রান্তেরা সকলেই আলাদা থাকছেন। যাঁরা আক্রান্ত নন, তাঁরাই বাইরে বেরোচ্ছেন। কিন্তু দোকানি জিনিস দিতে রাজি হচ্ছেন না। অভিযোগ, ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর পার্থ মিত্রের ছেলে শান মিত্রের নির্দেশেই দোকানিদের অনেকে তাঁদের কিছু বিক্রি করতে রাজি হচ্ছেন না। তবে শান মিত্রের দাবি, পজ়িটিভ এক জন রাস্তায় বেরোচ্ছিলেন। তাই পড়শিরাই আপত্তি জানান। পরিবারের সদস্যদের প্রশ্ন, তাঁরা দোকান-বাজারে না গেলে খাবেন কী? তাঁদের অভিযোগ, ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর বা পুলিশ, কোনও তরফেই ফোন করে খোঁজ নেওয়া হয়নি। মৃতের ছেলের কথায়, “আমরা কোয়রান্টিনে আছি। শুধু দিদি-দাদা বাইরে বেরোচ্ছেন, যাঁরা নেগেটিভ।”

Advertisement

মেডিসিনের চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার বলেন, “কয়েক জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও যে হেতু পরিবারের অন্য সদস্যেরা পজ়িটিভ, তাই তাঁরা যতই আলাদা ঘরে থাকুন, বেরোনো উচিত নয়। রিপোর্ট এক বার নেগেটিভ এলেও পরে যে পজ়িটিভ আসবে না, তা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না। কারণ, করোনা পজ়িটিভের সংস্পর্শে এক দিনের জন্য এলেও শরীরে ভাইরাস থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে ১২-১৪ দিন কোয়রান্টিনে থাকা উচিত।”

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement