প্রতীকী ছবি
করোনার ত্রাণ কার্যালয়ে তখন খাবারের প্যাকেট তৈরির কাজ চলছে। চারদিকে চাল-আলু-ডাল-বিস্কুট ভর্তি প্যাকেটের স্তূপ। এমন সময়ে সেখানে হাজির পবনপুত্রেরা। অঙ্গভঙ্গিতে বুঝিয়ে দিল, খাবার চাই তাদেরও!
ভয়ে কেউ কেউ লাঠি হাতে তাদের তাড়াতে গেলেও বাধা দিলেন ত্রাণকাজের আয়োজক। বরং লকডাউন পরিস্থিতিতে ডোমজুড়ের কোনা এলাকার ওই বাড়িতে প্রতিদিন এক দল হনুমানের জন্য খাবারের বন্দোবস্ত করলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘দেখেই বোঝা যাচ্ছিল ওরা অভুক্ত। তাই ঢুকে পড়েছিল। তাই মানুষের পাশাপাশি প্রতিদিন ওদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’
সম্প্রতি কোনার একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির একতলায় চলছিল ত্রাণের প্যাকেট তৈরির কাজ। সেই সময়ে সিঁড়ি দিয়ে ১০-১২টি পূর্ণবয়স্ক হনুমান নেমে আসে এবং খাবারের প্যাকেটের সামনে চলে যায়। সেখান থেকে আলু, বিস্কুট দেওয়া হলে তা নিয়ে চলে যায় তারা। জানা গিয়েছে, ওই এলাকার বাগানে থাকে ওই হনুমানের দল। ঘটনার পর থেকে প্রতিদিন ৫ কেজি করে ছোলা, আলু, কলা, আপেল ও বিস্কুট বরাদ্দ করা হয়েছে তাদের জন্য।