প্রতীকী ছবি
টুইটারের বার্তা থেকে কলকাতা পুলিশ জানতে পেরেছিল ভিন্ রাজ্যের বেশ কয়েক জন শ্রমিক আটকে রয়েছেন বন্দর এলাকায়। তাঁদের খুঁজে বার করে বুধবার এক সপ্তাহের রেশন পৌঁছে দিল মেটিয়াবুরুজ থানার পুলিশ।
লালবাজার সূত্রের খবর, ‘গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স’ সংস্থায় উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরের বাসিন্দা ১৬ জন শ্রমিক কাজ করেন। তাঁরা গত ছ’মাস ধরে মুম্বইয়ের একটি সংস্থার হয়ে বন্দর এলাকায় ঠিকা শ্রমিকের কাজ করছেন। মুদিয়ালিতে ছ’জন এবং গার্ডেনরিচ এলাকায় ১০ জন বাড়ি ভাড়া করে থাকেন। দু’জায়গাতেই খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ দিন তাঁদেরই এক জন দীপক যাদব জানান, হাতে থাকা টাকা শেষ হয়ে গিয়েছে। যা সাহায্য মিলেছিল তাও শেষ। ওই দুরবস্থার কথা জানিয়ে পরিবারের পরামর্শে তাঁরা জৌনপুরের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে কত জন আছেন জানতে এর পরেই বুধবার মেটিয়াবুরুজ থানার পুলিশ যোগাযোগ করে।
সূত্রের খবর, এ দিনই উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফেও ওই শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। শ্রমিকদের কয়েক জন পুলিশকে জানান, যে ঠিকাদার তাঁদের এখানে কাজে লাগিয়েছিলেন, তিনি কিছুই সাহায্য করছেন না। এমনকি স্থানীয় সুপারভাইজ়ারও ফোন বন্ধ করে দেওয়ায় তাঁরা বিপাকে পড়ে গিয়েছেন। সে কথাই তাঁরা পরিজনেদের পরামর্শে সেখানকার জনপ্রতিনিধিকে জানান।
দীপক জানান, কাজ না থাকায় বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারছেন না তাঁরা। লকডাউন উঠলে দ্রুত গ্রামের বাড়িতে ফিরতে চান, সে কথাই জানিয়েছেন সেখানকার প্রশাসনকে। ওই শ্রমিকদের দাবি, তাঁদের মতোই অনেকে হাওড়ার নাজিরগঞ্জে রয়েছেন। তাঁদের অবস্থাও সঙ্গিন।
আরও পড়ুন: ভিড় নেই চেম্বারে, রোগী দেখা অনলাইনেই
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)