Coronavirus

রেশনের কুপন মেলেনি, অভিযোগ বিধাননগরে

এই অভিযোগ পুরোপুরি না মানলেও বিধাননগর পুরসভার দাবি, কুপন বিলি ও বাছাইয়ের কাজে কিছু সমস্যা রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২০ ০৪:২৪
Share:

প্রতীকী ছবি

লকডাউনের সময়ে রেশন দোকানের মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী বণ্টন করার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। ডিজিটাল রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেও যাঁরা কার্ড পাননি, তাঁদের জন্য বিশেষ কুপনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, সেই কুপনও না পাওয়ার ফলে গণবণ্টন ব্যবস্থার সুফল পাচ্ছেন না অনেকেই। এর ফলে লকডাউনের সময়ে প্রায় না খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন বিধাননগর পুর এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ।

Advertisement

তবে এই অভিযোগ পুরোপুরি না মানলেও বিধাননগর পুরসভার দাবি, কুপন বিলি ও বাছাইয়ের কাজে কিছু সমস্যা রয়েছে। তাই প্রয়োজনে খাদ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হবে।

বিধাননগর পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আটঘরার বাসিন্দা, পেশায় ভ্যানচালক জাকির আলি জানান, তাঁর যৌথ পরিবারের ১৩ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র তিন জনের ডিজিটাল রেশন কার্ড হয়েছে। বাকিরা কুপন পাননি। ফলে পর্যাপ্ত রেশন পাচ্ছেন না। জাকিরের স্ত্রী সামিরন বিবি বলেন, ‘‘ডিজিটাল রেশন কার্ড না থাকলে কুপন দেওয়ার কথা। কিন্তু সেই কুপন কেউ দেয়নি। তাই রেশন পাচ্ছি না।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালের আরও এক চিকিৎসক

রেশন কার্ড-পিছু মাসে এক বার দু’কিলোগ্রাম চাল এবং তিন কিলোগ্রাম গম পাওয়া যায় বলে জানাচ্ছেন গ্রাহকেরা। সামিরন বিবি বলেন, ‘‘স্বামী ভ্যান চালাতে যাচ্ছে না। এটুকু চাল-গমে আমাদের সারা মাস কী ভাবে চলবে?’’ ন’পাড়ার বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় দাস, জাকির তরফদারেরাও জানাচ্ছেন, আবেদন করা হলেও রেশন কার্ড বা কুপন, কোনওটাই মেলেনি।

তবে কুপন না দেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে স্থানীয় বিধাননগর পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজিজুল হাসান মোল্লার দাবি, ‘‘কুপন সবাইকে দেওয়া হয়েছে। কেউ যদি বাকি থাকেন, তা হলে তাঁদেরও দু’এক দিনের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হবে। আমাদের ওয়ার্ডে কেউ না খেয়ে থাকবেন না।’’ ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুজিত মণ্ডল জানান, কুপনের জন্য অনেকেই আবেদন করেননি। সেই বিষয়টি পুরসভায় জানানো হয়েছে।

৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্মল দত্ত জানিয়েছেন, কুপন সকলে পাননি বলে ওয়ার্ডগত ভাবে ত্রাণ দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। তবে তাঁর ওয়ার্ডে কুপন বিলি করা হলেও তাঁকে কিছু জানানো হয়নি বলে পাল্টা দাবি করেছেন ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ সর্দার। এক পুরকর্তা জানিয়েছেন, ওই ওয়ার্ডের কুপন সরাসরি বরো অফিস থেকে বিলি করা হয়েছে।

কুপন না পেলেও বা কুপনের আবেদন না-করলেও বাসিন্দারা যাতে রেশন পান, তা নিয়ে পুর প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলা হবে বলে জানিয়েছেন ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা বরো চেয়ারম্যান বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধাননগরের ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওয়ার্ডভিত্তিক কুপন বিলিতে কিছু সমস্যা রয়েছে। দ্রুত সে সমস্যা মেটানো হবে।

আরও পড়ুন: মাস্কের জোরেই নতুন বছরে ফেরার লড়াই ওঁদেরও

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেনআপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement