প্রতীকী ছবি
লকডাউনের জেরে অন্নপূর্ণা বা বাসন্তী প্রতিমা তৈরি হয়ে গেলেও মণ্ডপমুখো হয়নি এ বার। কয়েক মাস পরে দুর্গাপুজোয় কী হবে, তা-ও এখন পুরোপুরি অনিশ্চিত। দুর্গাপুজোর বাজেট কমানোর কথা ইতিমধ্যেই ভেবে ফেলেছে শহরের প্রায় সব পুজো কমিটি। সেই পুজোর প্রচার এবং প্রসারে বছরভর বিদেশে নানা অনুষ্ঠান করে থাকেন পর্যটন ব্যবসায়ী জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। তথ্যচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেন বাংলার সেরা উৎসবের মাহাত্ম্য। লকডাউন পর্বেও দুর্গাপুজোকে বিদেশে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন তিনি।
থিম ‘করোনা-অসুর বধ’। মাটি, খড় বা বাঁশের মূর্তি নয়। পরিবর্তে থাকবে শুধু ক্যানভাস। সেই ক্যানভাস রাঙাবে খুদেরা। যা পৌঁছে যাবে করোনায় বিপর্যস্ত বিভিন্ন দেশে। আমেরিকা, ইটালি, ফ্রান্স, স্পেন, ব্রিটেন ও জার্মানির পাশাপাশি চিনেও যাবে। ওই সমস্ত দেশের ভারতীয় দূতাবাসে ইমেল মারফত পাঠানো হবে তা। এ ব্যাপারে দূতাবাসগুলির সম্মতিও মিলেছে বলে দাবি জয়দীপের।
লকডাউনের জেরে কুমোরটুলিতেও কাজ হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন বহু শিল্পী ও তাঁদের সহায়কেরা। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে চাল, ডাল, আলু, তেল নিয়ে সেখানে হাজির হয়েছিলেন জয়দীপ। এ বার সঙ্গে আঁকার সামগ্রী পাঠিয়ে দেবেন তিনি। আজ, শুক্রবার দুপুরে কুমোরটুলি যাবেন জয়দীপ। সেখানকার শিল্পীদের মাধ্যমে আঁকার সামগ্রী পাঠিয়ে দেবের শিশুদের কাছে। তার পরে তাদের সেই আঁকা পাঠিয়ে দেবেন বিদেশে।
কেন এমন ভাবনা? জয়দীপের মতে, ‘‘দুর্গাপুজোর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে কুমোরটুলির শিশু-কিশোরেরাও। তাই ক্যানভাসের মধ্যে দিয়ে তারা তাদের দুর্গাপুজোর ভাবনাকে ফুটিয়ে তুলুক, এটাই চাই।’’ সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘বিদেশের অনেক বিখ্যাত উৎসবের থেকেও বাংলার দুর্গাপুজোর জৌলুস বেশি। তা হলে কেন তার প্রচার হবে না? সেই লক্ষ্যেই চেষ্টা করছি।’’