প্রতীকী ছবি
শহরে ঘুরে ঘুরে লকডাউন মেনে বাড়িতে থাকার আবেদন আগেই করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রমজান মাসেও যাতে মানুষ বাড়িতে থেকে ওই উৎসব পালন করেন, সে জন্য এ বার লিখিত ভাবে আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সেই আবেদন কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন থানার কর্মীরা নির্দিষ্ট এলাকায় বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবেন। সোমবার থেকে লিফলেট আকারে বাংলা, হিন্দি ও উর্দুতে লেখা ওই আবেদন পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এর আগে করোনা-সংক্রমণ ঠেকাতে রমজান মাসে বাড়িতে থেকেই নমাজ পড়ার আবেদন জানিয়েছেন মুসলিম ধর্মগুরুরা।
করোনা-সংক্রমণের জেরে শহরের বিভিন্ন এলাকাকে স্পর্শকাতর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ২২৭টি এলাকাকে ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গোটা শহর রয়েছে কেন্দ্রের রেড জ়োনের তালিকায়। এই পরিস্থিতিতে এক সপ্তাহ ধরে মুখ্যমন্ত্রী কখনও পার্ক সার্কাস, কখনও রাজাবাজার, বালিগঞ্জ, মৌলালিতে পৌঁছে লকডাউন মেনে চলার আবেদন করেছিলেন। রমজান চলাকালীনও যাতে লকডাউন মেনে চলা হয়, সেই অনুরোধও করেছিলেন তিনি।
পুলিশ সূত্রের খবর, থানাগুলিকে প্রথম দফায় নির্দিষ্ট সংখ্যক লিফলেট পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে। পরে আরও লিফলেট বিলি করতে দেওয়া হবে। এই কাজ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছে রমজান মাস। লিফলেটে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বার্তায় জানিয়েছেন, এ বার পরিস্থিতি আলাদা। সকলে এত দিনে করোনাভাইরাস এবং এর ভয়াবহতা সম্বন্ধে অবগত হয়েছেন। এই মারাত্মক ব্যাধির মোকাবিলায় বিশ্ব জুড়ে লকডাউন চলছে। বৃহত্তর স্বার্থে আজকের পরিস্থিতি বিচার করে সমগ্র বিশ্ব ইফতার এবং তরাবির নমাজ বাড়ি থেকেই পালন করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই লিফলেটে মুখ্যমন্ত্রীর আরও আবেদন, লকডাউনকে মান্যতা দিতে বিশ্বের মতো এখানেও যেন সকলে বাড়িতে থেকে তরাবির নমাজ এবং ইফতার পালন করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, শহরে বসবাসকারী মুসলিমদের যাতে ফল বা খাবার কিনতে অসুবিধা না-হয়, তা দেখতে আগেই বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিল লালবাজার। সেখানকার বাসিন্দারা যাতে মাস্ক পরে বাজারে যান এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন, তা-ও পুলিশ দেখছে।
আরও পড়ুন: তরুণীর মৃত্যুতে আতঙ্ক দেগঙ্গায়