Coronavirus

বাজার চালু রাখতে নজরে মোটবাহকদের সুরক্ষা

কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, পোস্তা বাজার মার্চেন্টস  অ্যাসোসিয়েশন-সহ বিভিন্ন সংগঠনের সাহায্যে প্রায় পাঁচশো মোটবাহক এবং বাজারের কর্মীদের দু’বেলা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছে পোস্তা-বড়বাজার-জোড়াবাগান থানা।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২০ ০৩:২৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

লকডাউনের মধ্যে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য পোস্তা এবং বড়বাজারের পাইকারি বাজার সচল থাকা প্রয়োজন। আর তাই ওই বাজারে কর্মরত মোটবাহকদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা এবং দেখভালের উপরে নজর দিয়েছে পুলিশ। ওই পাইকারি বাজারে লরি থেকে পণ্য ওঠানো-নামানোর সঙ্গে যুক্ত, ভিন্‌ রাজ্যের বাসিন্দা ওই মোটবাহকদের ফুটপাত থেকে সরিয়ে স্থানীয় ধর্মশালা কিংবা বড় বড় গুদামে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জোগান দেওয়া এবং দু’বেলা খাওয়ানোর ব্যবস্থাও করেছে পুলিশ।

Advertisement

কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, পোস্তা বাজার মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন-সহ বিভিন্ন সংগঠনের সাহায্যে প্রায় পাঁচশো মোটবাহক এবং বাজারের কর্মীদের দু’বেলা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছে পোস্তা-বড়বাজার-জোড়াবাগান থানা। ওই তিন থানার অধীনেই রয়েছে এ রাজ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার হিসেবে পরিচিত পোস্তা বাজার। সেখানকার মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক চন্দন চক্রবর্তী জানান, পোস্তা বাজারের মধ্যে রয়েছে রাজ্যের সবচেয়ে বড় আলু, পেঁয়াজের আড়ত এবং রান্নার মশলার আড়ত। রয়েছে চাল-ডাল-তেলের মতো সামগ্রীর পাইকারি আড়তও। তাই এই বাজার চালু না-থাকলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাই লকডাউনের মধ্যেও ওই বাজার স্বাভাবিক রাখতে মোটবাহকদের প্রয়োজনীয় খাদ্য এবং সুরক্ষার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে।

লকডাউনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পেতে যাতে সাধারণের অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করতে সপ্তাহ দুয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পোস্তা বাজারে গিয়েছিলেন। সেখানেই পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মার সঙ্গে কথা বলে তিনি কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (৩) দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহকে জরুরি পণ্য সরবরাহের নোডাল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করেন। পুলিশের উপস্থিতিতে ওই বাজারে প্রয়োজনীয় দূরত্ব-বিধি মেনে পণ্য বেচাকেনা হচ্ছে কি না, তা-ও সরেজমিন খতিয়ে দেখছেন ওই পুলিশকর্তা।

Advertisement

সূত্রের দাবি, লকডাউন শুরু হওয়ার পরপরই ওই মোটবাহকদের অনেকেই পোস্তা ছেড়ে নিজের নিজের রাজ্যে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন। এমনকি, গাড়ি না পেয়ে তিন চাকার ভ্যানে চেপেই রওনা দিয়েছিলেন তাঁদের কেউ কেউ। এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, ‘‘পণ্য নামিয়ে খালি লরি ফেরার সময়ে তাতে চেপে ভিন্‌ রাজ্যে যেতে গিয়ে ধরা পড়ে যান কয়েক জন মোটবাহক। এর পরেই ঠিক হয়, পাইকারি বাজার সচল রাখতে ওই মোটবাহকদের বুঝিয়ে এবং তাঁদের প্রাত্যহিক চাহিদা মিটিয়ে রেখে দেওয়া হবে।’’

লালবাজার জানিয়েছে, এর পরেই পোস্তার বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে সেখানকার মোটবাহকদের সুরক্ষার দিকে নজর দেয় পুলিশ। সেই সঙ্গে কেউ যাতে পোস্তা ছেড়ে ভিন্‌ রাজ্যে চলে যাওয়ার চেষ্টা না করেন, তা-ও নজরে রাখা হয়। প্রথমে তাঁদের রাখা হয় বিভিন্ন ধর্মশালায়। পরে সংগঠনগুলি ব্যবসায়ীদের ফাঁকা গুদামে ওই মোটবাহকদের রাখার ব্যবস্থা করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement