প্রতীকী ছবি
ইদের আগে লকডাউন-বিধি কঠোর ভাবে মেনে চলতে সাধারণ মুসলিমদের কাছে আবেদন জানালেন রাজ্যের মুসলিম ধর্মগুরুরা। অল ইন্ডিয়া মিল্লি কাউন্সিলের রাজ্য শাখার সভাপতি ফজলুর রহমান, জামাতে ইসলামি হিন্দের রাজ্য সভাপতি মৌলানা আব্দুল রফিক, নাখোদা মসজিদের ইমাম শফিক কাশেমি, ফুরফুরা দরবার শরিফের মুখ্য সচেতক ত্বহা সিদ্দিকি প্রমুখ সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, এখন মসজিদে আজান দেওয়া হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ এড়ানোর জন্য হাতে গোনা কয়েক জন সেখানে গিয়ে তারাবিহ ও ফরজ নমাজ পড়ছেন। বাকিরা নমাজ পড়ছেন বাড়িতেই। এই ধারা বজায় রাখতে হবে।
ওই ধর্মগুরুদের আর্জি, খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ যেন না বেরোন। এমনকি, ইদের কেনাকাটা করা থেকেও বিরত থাকতে হবে। ফজলুর সাহেব বলেন, ‘‘আমরা মসজিদে না গিয়ে, কষ্ট স্বীকার করে বাড়িতে নমাজ পড়ছি। তা হলে কেন ইদের কেনাকাটার জন্য বাজারে যাওয়া বন্ধ রাখতে পারব না? আগামী কয়েক সপ্তাহ আমাদের অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।’’
আবেদনকারীদের তরফে জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের সম্পাদক ক্বারি মওলানা শামসুদ্দিন, সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ কামরুজ্জামান, অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের সদস্য রইসুদ্দিনরা জানিয়েছেন, সম্ভবত ২৫ মে ইদ। তত দিন পর্যন্ত চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা ও চিকিৎসকদের পরামর্শ কঠোর ভাবে প্রত্যেককে মেনে চলতে হবে। সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে প্রশাসনকে।
আরও পড়ুন: কলকাতা পুলিশের আরও এক ওসি কোভিড আক্রান্ত
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)