প্রতীকী ছবি
লকডাউন চলার মাঝেই এসে পড়েছে রমজান মাস। তিলজলা, পিকনিক গার্ডেন, পঞ্চান্নগ্রাম, ভিআইপি বাজার এলাকায় অসুবিধায় পড়া বিভিন্ন মুসলিম পরিবারের জন্য ত্রাণে দেওয়া হচ্ছে খেজুর-সহ আরও অনেক কিছু। আর সেই খরচ জোগাচ্ছেন এলাকার ফুচকা বিক্রেতা জয়নারায়ণ দাস।
জয়বাবুর ছেলে গোবিন্দ কোয়রান্টিন স্টুডেন্টস-ইউথ নেটওয়ার্কের সঙ্গে করোনা ত্রাণের কাজে আগে থেকেই ছিলেন। বাবার ইচ্ছায় গোবিন্দ এ বার এলাকার রুজি-রোজগারহীন গরিব মুসলিমদের হাতে চাল, ডাল, আনাজের সঙ্গে তুলে দিচ্ছেন আরও একটি প্যাকেট। তাতে থাকছে খেজুর, প্যাকেটবন্দি শরবত। গোবিন্দ বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে কম্পিউটার সায়েন্স পড়েন। তাঁর মতো এলাকার বেশ কয়েক জন ওই সংগঠনে যোগ দিয়েছেন ত্রাণের কাজে।
গোবিন্দ রবিবার বললেন, ‘‘এই সময়ে বহু মানুষের কোনও রোজগার নেই। কিন্তু রমজান চলছে। ওঁদের তো কিছু খেতে হয়। বাবা চাইছেন এই মানুষগুলিকে কিছু অর্থসাহায্য করতে। কিন্তু টাকা না দিয়ে সেই টাকায় খাবার কেনা হচ্ছে।’’
ওই নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু প্রাক্তনীর উদ্যোগে। তাতে যোগ দিয়েছেন যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ বহু কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। রাজ্যে কোথাও কমিউনিটি কিচেন খুলে তাঁরা দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিলি করছেন। কোথাও পরিবারপিছু রেশন বিলি করছেন। শুধু এ রাজ্যে নয়, তাঁরা ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন দিল্লি, মুম্বই, হায়দরাবাদেও। তিলজলা পিকনিক গার্ডেন অঞ্চলে ওই ত্রাণের কাজ দেখাশোনা করছেন দীপককুমার লাল। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগে স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। দীপক বলেন, ‘‘লকডাউনের শুরু থেকে এই কাজ চলছে। গোবিন্দদের এই দানে এখানে গরিব মুসলিমদের মুখে হাসি ফুটেছে।’’ দীপক জানান, এখনও পর্যন্ত তাঁরা ১৩০০ পরিবারের কাছে রেশন পৌঁছে দিতে পেরেছেন।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)