প্রতীকী চিত্র।
রোজ কাজে না বেরোলে যাঁদের পেট চলে না, কিংবা খুবই দুঃস্থ— এমন মানুষদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে দুই পড়শি পুরসভা কলকাতা ও হাওড়া। আজ, শনিবার একই কাজ শুরু করছে বিধাননগর পুরসভাও। সূত্রের খবর, প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে এমন মানুষদের তালিকা তৈরি করে সল্টলেক ও রাজারহাট থেকে দেওয়া হবে খাদ্য সামগ্রী। এই কাজে পুরসভাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে একটি প্রতিষ্ঠান। একই ভাবে কলকাতাতেও দু’টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দু’বেলা মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার লোকের খাবারের ব্যবস্থা করেছে।
রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম শুক্রবার জানান, পুরসভা ৩৯টি হোমে নিরাশ্রয় বাসিন্দাদের রোজ দু’বেলা খাবার সরবরাহ করছে। অন্য দিকে বিধাননগর পুরসভা এলাকায় এক দিন অন্তর ৫০০ জনকে মুড়ি, বিস্কুট, পাউরুটির মতো শুকনো খাবার এবং সপ্তাহে এক দিন চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ দেওয়া হবে।
প্রশাসনের পাশাপাশি কাউন্সিলরেরাও তাঁদের এলাকায় খাদ্য সামগ্রী দিচ্ছেন। এ দিন বিধাননগরের ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় বন্ধ থাকা কয়েকটি বেসরকারি বাস রুটের ১৭০ জন কর্মীর হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। তা ছাড়াও তাঁর তিন নম্বর ওয়ার্ডে আদিবাসী পাড়ায় খাবার দেওয়া হয়। তাপসবাবু জানান, তাঁর ওয়ার্ডে চার হাজার লোককে খাবার দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্য, ১৫ হাজার দুঃস্থ বাসিন্দার কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার। পাশাপাশি পুরমন্ত্রী জানিয়েছেন, কলকাতায় শাসক দলের তরফে দৈনিক এক হাজার দুঃস্থ লোককে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
এ দিকে, লকডাউন চলায় রীতিমতো অসহায় অবস্থায় পড়েছেন হাওড়ার ট্রলিচালক, মোটবাহক এবং টোটো-ভ্যানচালকেরাও। দু’বেলা ভাত জোগাড় করাটাই তাঁদের কাছে কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় এ দিন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের নেতা-মন্ত্রীরা পথে নামলেন তাঁদের হাতে খাবার পৌঁছে দিতে। এ দিন রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্ল থেকে শুরু করে সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে কয়েক হাজার দিনমজুর ও ফুটপাতবাসীর হাতে খাবার ও খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন।