ফাইল চিত্র।
করোনা সংক্রমণ নিয়ে সতর্কতায় কালীঘাট মন্দির বন্ধ রয়েছে। তবে সমস্ত আচার মেনে কাল, শুক্রবার প্রতিমার স্নানযাত্রা হবে বলে কালীঘাট মন্দির কমিটির তরফে জানানো হয়েছে।
কমিটি সূত্রের খবর, নিয়ম মেনে প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠের পূর্ণিমা তিথিতে মূর্তি ও পূজিত অঙ্গগুলিকে স্নান করানো হয়। শুধু কালীঘাট মন্দিরেই নয়, ওই তিথিতে ৫১টি পীঠস্থানেই এই পূজার্চনা হয়। কথিত আছে, কালীঘাটে সতীর বাঁ হাতের কনিষ্ঠা পড়েছিল। মন্দির কমিটি সূত্রের খবর, গর্ভগৃহে সেটিরই পুজো করা হয়। কালীঘাট মন্দিরের অন্যতম সেবায়েত জহর চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘নিয়ম মেনে গঙ্গাজল, ডাবের জল, দুধ, দই, সুগন্ধি ও জবাকুসুম তেলের মিশ্রণ দিয়ে কালীমূর্তি এবং ওই অঙ্গ স্নান করানো হয়। ওই অঙ্গটি বেনারসি বস্ত্রে মুড়িয়ে রাখা থাকে। বছরভর প্রতিমার সিঁদুর বদলানো হয়। সেই সঙ্গে প্রতিমাকে শাড়িও পরানো হয়। কিন্তু বছরের ওই দিনই মূর্তিকে স্নান করানো হয়। মন্দিরের নির্দিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত পুরোহিতেরা আচার মেনে স্নানযাত্রা করেন।’’
মন্দির কমিটির তরফে কল্যাণ হালদার জানিয়েছেন, প্রতি বছর স্নানযাত্রার দিন কালীঘাটে প্রায় লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয়। এ বছর মন্দিরে ভক্ত সমাগমের অনুমতি নেই। গর্ভগৃহে মন্দির কমিটির অনুমোদনপ্রাপ্ত পুরোহিত ও কয়েক জন সেবায়েত উপস্থিত থেকে তাই স্নানযাত্রা সম্পন্ন করবেন। কল্যাণবাবু বলেন, ‘‘স্নানযাত্রার প্রয়োজনীয় সামগ্রী জীবাণুমুক্ত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখে তবেই মন্দিরে ঢোকানো হবে। ওই দিন নিয়োজিত পুরোহিত ও সেবায়েতরা সংক্রমণ রুখতে সব সতর্কতা মানছেন কি না, তা-ও নজর রাখা হবে।’’
এ দিকে, কালীঘাট মন্দির সাধারণের জন্য খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জীবাণুমুক্ত করিয়ে ভক্তদের কী ভাবে মন্দিরে প্রবেশ করানো যায়, সে ক্ষেত্রে সর্তকতার ধাপগুলি নিয়ে আলোচনার জন্য দ্রুত বৈঠকে বসা হবে। সব বিষয়ে সহমত হলে তবেই মন্দির খোলার সিদ্ধান্ত হবে। সবই এখন আলোচনার পর্যায়ে বলে জানিয়েছেন কল্যাণবাবু।