কন্টেনমেন্ট জোনের তালিকায় এ বার উত্তর কলকাতার জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ডও—ফাইল চিত্র
এ বার আস্ত একটি ট্রাফিক গার্ডই চলে গেল কন্টেনমেন্ট জোনের তালিকায়। লকডাউন সফল করতে দিনরাত কাজ করছেন পুলিশকর্মীরা। রাস্তায় নাকা চেকিং থেকে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বেশ কয়েক জন পুলিশ কর্মী ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছে উত্তর কলকাতার জোড়াবাগান থানা এবং ট্রাফিক গার্ডও।
সোমবার শহরে কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে ৩১৮ হয়ে গিয়েছে। ওই তালিকায় ১৯ ওয়ার্ডের ২ নম্বর বরোর রবীন্দ্র সরণি, বারোয়ারিতলা লেন, শোভাবাজার স্ট্রিট, বেনিয়াটোলা স্ট্রিট এর সঙ্গে জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ডের ঠিকানাও রয়েছে।
জোড়াবাগান থানার পুলিশকর্মী-সহ গার্ডের এক সার্জেন্ট নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সে কারণে বাকিদেরও স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হচ্ছে লালবাজারকে। ইতিমধ্যেই ১০ জনকে পাঠানো হয়েছে কোয়রান্টিনে। কারা ওই পুলিশকর্মীদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁর একটি তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে। সার্জেন্ট আক্রান্ত হওয়ার পর ওই ট্রাফিক গার্ডও জীবণুমুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘খাবার জুটুক বা না-জুটুক, আগে তো মদ কিনে রাখি!’
মঙ্গলবার গার্ড চত্বরে জীবণুনাশক স্প্রে করেছে দমকল। ওই ট্র্যাফিক গার্ডেরই আর এক আধিকারিক করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি। শুধু জোড়াবাগান নয়, এর আগে গার্ডেনরিচ, জোড়াবাগান, বড়তলা, প্রগতি ময়দান-সহ বিভিন্ন থানার অফিসারা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের পাশে থাকার বার্তা এসেছে খোদ পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মার তরফ থেকেই। তিনি গার্ডেনরিচ থানায় নিজে গিয়ে পুলিশ কর্মীদের মনোবল বাড়িয়েছেন।
আরও পড়ুন: ত্রাণের হাত ধরে বিপদ বাড়াচ্ছে সেই প্লাস্টিক
এর পাশাপাশি প্রতিটি থানা এবং ট্রাফিক গার্ড নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে। পুলিশকর্মীদের ডিউটি করার সময় স্যানিটাইজার, মাস্ক এবং গ্লাভস পরার উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)