বাগুইআটির একটি দোকানে কেনাকাটার ভিড়। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
বিধাননগর পুর এলাকায় নতুন করে ছড়াচ্ছে কোভিডের আতঙ্ক। কারণ, প্রায় প্রতিদিনই সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। অথচ, সল্টলেক থেকে শুরু করে ভিআইপি রোড সংলগ্ন বিভিন্ন দোকান-বাজারে উৎসাহী ক্রেতাদের ভিড় দেখে তা বোঝার উপায় নেই। ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও দোকানপাট নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করার ব্যাপারে ব্যবসায়ী সমিতিগুলির কাছে আবেদন জানিয়েছে পুরসভা। তবে তাতে কাজের কাজ কতটা হবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, বিধাননগরে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সাত হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও বেড়ে হয়েছে ১০৪৮। দৈনিক সংক্রমণও ১০০ পার করেছে। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ৫৯৫০ জন। গত ২০-৩০ দিনে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
পুরকর্মীরা জানাচ্ছেন, বিধাননগরে বাইরের লোকজনের যাতায়াত অনেকটাই বেড়েছে। বিশেষত, পুজোকে কেন্দ্র করে। শপিং মল কিংবা দোকান-বাজারে তুলনায় ভিড় অনেকটাই বেড়েছে। দেখা যাচ্ছে, মলের ভিতরে কিংবা বাজারে স্যানিটাইজ়ার দেওয়া এবং তাপমাত্রা মাপা হলেও শারীরিক দূরত্ব বজায় থাকছে না। বিশেষত, স্বল্প পরিসরের দোকানগুলিতে ভিড়ের চিত্রটা খুবই উদ্বেগজনক। আবার কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, মাস্ক থাকলেও তা ঠিকমতো পরছেন না ক্রেতারা। অনেকে তো আবার মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছেন যত্রতত্র।
পুজোর আগে দোকান-বাজারের এই ভিড়ই চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসনের। বাগুইআটির বাসিন্দা তথা কংগ্রেস নেতা সোমেশ্বর বাগুই বলেন, ‘‘সংক্রমণ ঠেকাতে নিয়ম মেনে চলার ক্ষেত্রে অনেকের মধ্যেই প্রবল অনীহা দেখা যাচ্ছে। এর আগে প্রশাসন দোকান-বাজারে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করেছিল। বাজারগুলি জীবাণুমুক্তও করা হয়েছিল। ফের সে ভাবেই বাজার এলাকায় নজরদারি ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা দরকার।’’
বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায়ের মতে, পুরসভা চেষ্টা করলেও নাগরিকদের একাংশের কিছুতেই হুঁশ ফিরছে না। আর সেটাই সব চেয়ে বেশি চিন্তার। সচেতনতার প্রচারে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। ব্যবসায়ী সমিতিগুলিকেও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করতে বলা হচ্ছে।