উদ্যোগী: এলাকা জীবাণুমুক্ত করছেন সল্টলেকের এ ই ব্লকের বাসিন্দারাই। নিজস্ব চিত্র
পুরসভার কর্মীরা বাড়ির সামনে জীবাণুমুক্ত করার কাজ করে দিয়ে যাচ্ছেন। তবু ভরসা হয়নি বাসিন্দাদের। অভিযোগ উঠছিল, বাড়ির বাইরে দায়সারা ভাবে রাসায়নিক ছিটিয়ে কর্তব্য সারছে পুরসভা। তাই, কারও অপেক্ষায় না থেকে সল্টলেকের এ ই ব্লকের একটি অংশের বাসিন্দারা নিজেরাই যন্ত্র কিনে শনিবার থেকে ওই ব্লক জীবাণুমুক্ত করার কাজে নেমে পড়েছেন।
সল্টলেকের সবচেয়ে বড় ব্লক এ ই। ওই ব্লকের যে সব বাসিন্দা নিজেরাই জীবাণুমুক্ত করার কাজ করছেন, তাঁরা এ ই পার্ট ২-এর বাসিন্দা। প্রাক্তন মেয়র তথা স্থানীয় ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্তের দাবি, ‘‘গোটা ওয়ার্ডের জন্য একটি যন্ত্র দেওয়া হয়েছে। এ ই পার্ট ১ এবং পার্ট ২ ছাড়াও, এই ওয়ার্ডের মধ্যে বি ই পূর্ব, বি ই পশ্চিম, বি এফ, সি ই, সি এফ এবং ডি এফ ব্লক রয়েছে। ফলে, একটি ব্লককে এক বার জীবাণুমুক্ত করার পরে ফের সেই ব্লকে আসতে এক থেকে দেড় মাস সময় লেগে যাচ্ছে।’’ অভিযোগ, সাফাইকর্মীদের দিয়েই জীবাণুমুক্ত করার কাজ হচ্ছে। ফলে, সব দিন যে জীবাণুনাশের কাজ হচ্ছে, এমনটাও নয়।
এ ই পার্ট ২-এর ব্লক কমিটির সম্পাদক তাপস সেনগুপ্ত জানান, ১০ হাজার টাকা দিয়ে যন্ত্রটি কেনা হয়েছে। পাঁচ হাজার টাকার রাসায়নিক কিনে শনিবার থেকেই সেই কাজ শুরু হয়েছে। পুরো টাকাই ব্লক কমিটি দিচ্ছে। ব্লকের গ্যারাজগুলিতে থাকেন যে কেয়ারটেকাররা, তাঁদের নিয়েই দল গড়া হয়েছে। তাঁদের এ কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রতি বাড়ির চারপাশে ভাল করে রাসায়নিক ছড়ানো হচ্ছে। এতে সন্তুষ্ট বাসিন্দারাও। তাপসবাবুর কথায়, ‘‘৫-৬ দিনের মধ্যে ব্লকের ৫৪৩টি বাড়ি জীবাণুমুক্ত করে আবার সেই কাজ শুরু হবে। এই কাজ চলবে।’’ সূত্রের খবর, সল্টলেকের একটি আবাসন এবং আরও একটি ব্লক এ ভাবেই নিজস্ব উদ্যোগে জীবাণুমুক্ত করার কাজ করছে।
বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই বিষয়টি জানি না। তবে, এ রকম উদ্যোগী হয়ে মানুষ এগিয়ে এলে প্রশাসন এবং বাসিন্দা সকলের পক্ষেই ভাল। সল্টলেকের যে সব এলাকা থেকে করোনা সংক্রমণের খবর আসছে, সেই ওয়ার্ডগুলির প্রতিটিতে দু’টি করে এবং অন্য ওয়ার্ডে একটি করে যন্ত্র দেওয়া হচ্ছে। তবে আগামী দিনে আরও যন্ত্র আসবে।’’
আরও পড়ুন: সংক্রমণ না-বাড়ে, বার্তা পুলিশকর্তাদের