প্রতীকী ছবি।
সংক্রমিত কত? সেই হিসাব জানাবেন যিনি, তিনি নিজেই আক্রান্ত। ফলে সংক্রমণের সঠিক পরিসংখ্যান নিয়ে বিপাকে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা।
সূত্রের খবর, ওই পুর এলাকায় গত ৪৮ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন প্রায় ৩০০ জন। পুরসভার প্রায় ৩৫ শতাংশ কর্মীও সংক্রমিত। স্কুলপড়ুয়াদের প্রতিষেধক দেওয়া ছাড়া সমস্ত শিবির বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর মারফত সংক্রমিতের পরিসংখ্যান প্রথমে জেলা স্বাস্থ্য দফতরে আসে। সেখান থেকে মহকুমা অনুযায়ী সেই তথ্য পুরসভাগুলিকে পাঠানো হয়। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, সমস্ত পরিসংখ্যান থেকে সংশ্লিষ্ট পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের ঠিকানা দেখে তালিকা তৈরি সময়সাপেক্ষ। এক জন অস্থায়ী কর্মী বর্তমানে ওই কাজ করছিলেন। কিন্তু তিনি নিজেই সম্প্রতি আক্রান্ত হওয়ায় বাড়ি থেকে কাজ করছেন।
এর ফলে যথাযথ পরিসংখ্যান হাতে না আসায় জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। মাইক্রো-কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণার ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান জরুরি। পুরসভার একাংশের দাবি, অন্য কোনও দফতরে বাড়তি কর্মী নেই, যাঁদের দিয়ে এই কাজ করানো যায়। পুর প্রশাসনের একাংশের মতে, আতঙ্কে কোঅর্ডিনেটরেরা জনসংযোগ কার্যত বন্ধ করে দিয়েছেন। কোভিড নিয়ন্ত্রণে যেটুকু কাজ হচ্ছে, তা চলছে সোনারপুর উত্তর ও দক্ষিণের দুই বিধায়ক এবং রাজপুর-সোনারপুরের পুর প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান, পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের অফিসার ও কর্মীদের উদ্যোগে।
পুরসভা সূত্রের খবর, পেশায় চিকিৎসক, প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান পল্লব দাসও সংক্রমিত কর্মীর সঙ্গে ফোন এবং ইমেলে যোগাযোগ রেখে তালিকা তৈরি করছেন। পুরসভার অন্দরের খবর, সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনতার প্রচার এবং পুরসভা পরিচালনার কাজে হিমশিম খেতে হচ্ছে পল্লববাবুকে। আধিকারিকদের আশঙ্কা, যে হারে কর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে, তাতে পুর অফিসের দরজাই না বন্ধ হয়ে যায়।
পল্লববাবু বলছেন, ‘‘পরিসংখ্যান তৈরির বিষয়টি আমি গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছি। ওই কাজে অন্য দফতরের কর্মীকে নিয়োগ করা যায় কি না সেটাও দেখছি। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’’