Coronavirus in Kolkata

পাহারায় বসল পুলিশ, নতুন করে ঘিরে দেওয়া হল শহরের বহু রাস্তা

বাসিন্দারা লকডাউন মানছেন না অনেক জায়গাতেই। কন্টেনমেন্ট জ়োন থেকেও বেরিয়ে পড়ছেন হুটহাট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২০ ০৪:৪৬
Share:

নতুন করে ঘিরে দেওয়া হল রাস্তা। বেলেঘাটার তারণকৃষ্ণ নস্কর লেনে। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

করোনা রুদ্রমূর্তি ধরায় এলাকা ধরে ধরে লকডাউনের মতো কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে শুরু করল পুলিশ। কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম মঙ্গলবার জানান, বাসিন্দারা লকডাউন মানছেন না অনেক জায়গাতেই। কন্টেনমেন্ট জ়োন থেকেও বেরিয়ে পড়ছেন হুটহাট।

Advertisement

ফিরহাদ জানান, যে-সব জায়গায় সংক্রমণ বেশি, কাল, বৃহস্পতিবার পুলিশের সহায়তায় সেখানে কঠোর ভাবে লকডাউন বিধি প্রয়োগ করা হবে। “এই লকডাউনের মূল লক্ষ্য, সংক্রমণ যেন না-ছড়ায়। যাঁরা হোম কোয়রান্টিনে আছেন, তাঁরা যাতে বাইরে বেরিয়ে না-পড়েন, সেটা দেখা। যে-সব বাড়িতে করোনা রোগী আছেন, সেখান থেকে বেরিয়ে কেউ যেন বাজারে না-যান,’’ বলেন ফিরহাদ। তাঁর আবেদন, সব বাজারে যেন পারস্পরিক দূরত্ব বজায় থাকে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। সংক্রমণের জায়গা বা বাড়ির অবস্থান দেখে তবেই তা ঘিরে দেওয়া হবে। এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে পুলিশই।

কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা জানান, আজ, বুধবার ডিসিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে বিভিন্ন এলাকার পরিস্থিতি যাচাই করা হবে। তার পরে পুরসভার সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত করা হবে কন্টেনমেন্ট জ়োনের তালিকা। কঠোর ভাবে বিধিনিষেধ বলবৎ হবে সেই সব এলাকায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, কলকাতার সব কন্টেনমেন্ট জ়োনের বাসিন্দাদের উপরে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ব্যারিকেড বসিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই সব এলাকার বিভিন্ন গলির মুখে। পাহারায় আছে পুলিশ। ‘‘ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় জিনিস আমরাই এনে দিচ্ছি,’’ বলেন এক পুলিশকর্তা।

Advertisement

আরও পড়ুন: নতুন করে ঘরে বন্দি বর্ধিত কন্টেনমেন্ট জ়োনে, কাল বিকেল ৫টা থেকে

মঙ্গলবার পুরসভার বিভিন্ন বরো অফিসে থানার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুর স্বাস্থ্যকর্তারা। তিন নম্বর বরোর চেয়ারম্যান অনিন্দ্যকিশোর রাউত জানান, বেলেঘাটা, মানিকতলা, ফুলবাগানে কন্টেনমেন্ট জ়োনে নতুন ছ’টি এলাকা যুক্ত হয়েছে। নতুন কন্টেনমেন্ট জ়োন হয়েছে বেহালায়।

আরও পড়ুন: কলকাতায় কোন কোন এলাকা ফের লকডাউনের আওতায়, দেখে নিন

লালবাজার জানিয়েছে, সংক্রমণ বেশি দশ নম্বর বরোয়। নেতাজিনগর, বাঁশদ্রোণী, যাদবপুর, টালিগঞ্জে আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত ৫০০। আট নম্বর বরোর বৈঠক হবে বৃহস্পতিবার। ভবানীপুর, কালীঘাট, গড়িয়াহাট, চেতলা নিয়ে গঠিত ওই বরোয় সব চেয়ে বেশি কন্টেনমেন্ট জ়োন রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement