Coronavirus in Kolkata

করোনা যুদ্ধে আতঙ্ক নয়, বলছেন বিজয়ীরা

পঞ্চাশোর্ধ্ব ওই দু’জনেই বাড়ি ফেরার পর থেকে হাসপাতালের নির্দেশে গৃহ পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। দু’জনেই হাসপাতালের চিকিৎসক এবং

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২০ ০৩:৩৯
Share:

প্রতীকী ছবি

মধ্যমগ্রামের করোনা আক্রান্ত এক নার্সের পরে শনিবার একসঙ্গে আরও দু’জন করোনাকে পরাস্ত করে দমদমের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গেলেন। তাঁদের মধ্যে এক মহিলা টালিগঞ্জের বাসিন্দা। অন্য জন খড়দহের বাসিন্দা এক ব্যবসায়ী। ওই মহিলা ইতালি থেকে ফিরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন।

Advertisement

পঞ্চাশোর্ধ্ব ওই দু’জনেই বাড়ি ফেরার পর থেকে হাসপাতালের নির্দেশে গৃহ পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। দু’জনেই হাসপাতালের চিকিৎসক এবং নার্সদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, করোনা মানেই যে মৃত্যু নয়, সেটা প্রমাণিত হল।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলা রোগী ও ওই ব্যবসায়ীর লালারস পরীক্ষা করে ১৪ এপ্রিল দু’জনের রিপোর্টেই করোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ে। তার পর থেকে দু’জনকেই বিশেষ পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা চলে। ২০ এবং ২৩ এপ্রিল পরপর দু’বার পরীক্ষা করে দু’জনেরই করোনা সংক্রমণ নেই বলে জানা যায়। এর পরে এ দিন তাঁরা দু’জন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।

Advertisement

আরও পড়ুন: করোনার উপসর্গ সল্টলেকের আরও এক বাসিন্দার

এ দিন হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার আগে ফোনে ওই ব্যবসায়ী বলেন, “খড়দহে নিয়মিত বাজার করতাম। মার্চের গোড়া থেকে ঘুষঘুষে কাশি ছিল। দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষে হাল্কা জ্বর আসে। হাসপাতালে ভর্তি হই। আমার পেসমেকার রয়েছে। তবে অন্য সব দিক থেকে সুস্থই ছিলাম। সরকারের নির্দেশ মতো সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, যতটা সম্ভব বাড়িতে থেকে, মাস্ক ব্যবহার করলে পরাস্ত করা যাবে এই রোগকে। আর উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।”

হাসপাতালের সিইও, চিকিৎসক নিবেদিতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা বেশ কয়েকটি কোভিড রোগীর চিকিৎসা করলাম। সুস্থ হয়ে ওঠা তিন জনই তথ্য গোপন না করে সহযোগিতা করেছেন। এটাই প্রয়োজন।” তিনি জানান, চারটি আইসোলেশন ঘরে টানা ১৪ দিন চিকিৎসক ও একই সেবিকা দল পিপিই-সহ সমস্ত সতর্কতা নিয়ে অসুস্থদের চিকিৎসা করেন।

ওই হাসপাতালের ডাক্তারেরা জানাচ্ছেন, জ্বর, কাশি কিংবা শ্বাসকষ্ট ছাড়াও এখন যেহেতু খাবারে অরুচি, ডায়রিয়া, মাথা বা শরীরে ব্যথার উপসর্গও করোনার সংক্রমণের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সে জন্য চিকিৎসকের কাছে কোনও তথ্যই গোপন করা যাবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement