প্রতীকী ছবি।
দুর্গাপুজো শেষ হতেই ফিরে আসতে শুরু করেছে করোনা অতিমারির পুরনো চেহারা। ফের বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমিতের সংখ্যা। এই অবস্থায় করোনা আক্রান্তদের পৃথক ভাবে রেখে চিকিৎসার জন্য ফের দু’টি সেফ হোম এবং একটি কোয়রান্টিন কেন্দ্র চালু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। শুক্রবার এ বিষয়ে পুর ভবনে জরুরি বৈঠক করেন পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ।
বৈঠকের পরে অতীনবাবু বলেন, ‘‘যে সব বাড়ি থেকে করোনা সংক্রমণের খবর আসছে, সেই বাড়িগুলিতে গিয়ে বিস্তারিত তথ্য নেওয়া হবে। উপসর্গযুক্ত এবং উপসর্গহীন প্রত্যেকের হোম আইসোলেশনে থাকার জায়গা আছে কি না, বাড়ির সকলে কোভিড
পরীক্ষা করিয়েছেন কি না— সংগ্রহ করা হবে সেই সব তথ্য। সংশ্লিষ্ট বাড়িগুলি জীবাণুমুক্ত করার উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে।’’ তিনি আরও জানান, কোনও শিশু করোনায় আক্রান্ত হলে সে যাতে তার অভিভাবকের সঙ্গে থাকতে পারে,
তার জন্য উত্তর কলকাতার হরেকৃষ্ণ শেঠ লেনে ৬০ শয্যার একটি সেফ হোম দ্রুত চালু করা হবে। সেখানে উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে পুরসভার তরফে স্বাস্থ্য ভবনে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও ক্রিস্টোফার রোডে চম্পামণি মাতৃসদনে কোয়রান্টিন কেন্দ্র এবং ইএম বাইপাসের কাছে একটি বেসরকারি সংস্থার বাড়িতে সেফ হোম চালুর পরিকাঠামো তৈরি আছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, অ্যাম্বুল্যান্স ও শববাহী গাড়ি তৈরি রাখা-সহ
জরুরি পরিস্থিতির মোকাবিলায় যা যা করণীয়, সে সব বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। উল্লেখ্য, গত ১৪ অক্টোবর থেকে শুক্রবার ২২ অক্টোবর পর্যন্ত কলকাতা পুর এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১০২, ১২৭, ১০৮, ১৭৯, ১৯৪, ১৮৩, ২৪৪, ২৬১ এবং ৩১৯ জন। পুর চিকিৎসকেরা বলছেন, পুজোর ভিড়ের মধ্যে কেউ সংক্রমিত হয়েছেন কি না, তা বোঝা যাবে আরও
অন্তত সপ্তাহ দুয়েক পরে। তা ছাড়া, অনেকেই করোনা পরীক্ষা না করানোয় আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা জানা
যাচ্ছিল না।
পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এ দিন যে ৩১৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে পুর
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে ২৪২ জনের। বাকি ৭৭ জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ
এসেছে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে করানো পরীক্ষায়। পুরসভার তথ্য বলছে, ৩১৯ জনের মধ্যে ১৫০ জন ইতিমধ্যেই প্রতিষেধকের দু’টি ডোজ় নিয়েছেন। অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার আক্রান্ত হওয়া ২৬০ জনের মধ্যে ১৬৩ জনের দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়া আছে।