প্রতীকী ছবি।
বিধাননগরে গত দু’মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ। যদিও আশার কথা হল, তাঁদের ৭৫ শতাংশই ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা অবশ্য এখনও ৭০ থেকে ৮০-র মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। পুরসভা সূত্রের খবর, ৩১ অগস্ট পর্যন্ত বিধাননগরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৪০১৫ জন। তাঁদের মধ্যে প্রায় তিন হাজারই এখন পুরোপুরি সুস্থ।
পুরসভা সূত্রের খবর, এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে প্রায় ৫৫০ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু জুলাই এবং অগস্টে খুব দ্রুত হারে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। ওই দু’মাসে প্রায় সাড়ে তিন হাজার নাগরিক করোনায় আক্রান্ত হন। দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছিল ১৩০-এ।
পুরকর্তারা জানিয়েছেন, সল্টলেক ও রাজারহাটে দিনে প্রায় ১০০ জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া, বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালেও পরীক্ষার ব্যবস্থা হচ্ছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন বেসরকারি পরীক্ষাগার থেকেও বহু নাগরিক পরীক্ষা করাচ্ছেন। সেই কারণেও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেফ হোমও তৈরি করেছে পুরসভা। যদিও সূত্রের খবর, বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করিয়েও সুস্থ হচ্ছেন অনেকে।
বিধাননগর পুরসভার এক কাউন্সিলর করোনায় মারা গিয়েছেন। আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও এক কাউন্সিলর। পুরসভা ও পুলিশ-প্রশাসনের বহু কর্মী আক্রান্ত হয়েছিলেন। বর্তমানে তাঁরা অধিকাংশই সুস্থ। পুরসভা সূত্রের খবর, জুন মাস পর্যন্ত নির্দিষ্ট কিছু এলাকাতেই সীমাবদ্ধ ছিল করোনার প্রকোপ। কিন্তু জুলাইয়ে ‘আনলক’ পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকে ৪১টি ওয়ার্ডেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকটি ওয়ার্ডে সংক্রমণের মাত্রা ছিল বেশ বেশি। গত কয়েক সপ্তাহে ওই সব ওয়ার্ডে কিছুটা হলেও সংক্রমণ কমেছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
যদিও বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, শুধু নমুনা পরীক্ষার জন্যই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে, এমনটা নয়। গণপরিবহণে যাতায়াত, পুর এলাকায় একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল, সচেতনতার অভাব— অনেক কারণই রয়েছে।
মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানান, জুলাই থেকে করোনার রেখচিত্র ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। তবে দৈনন্দিন সংক্রমণ যতটা বেড়েছিল, তা কিছুটা কমেছে। সুস্থতার হারও অনেকটাই বেড়েছে। সচেতনতার প্রচারে আরও জোর বাড়ানো হচ্ছে।