ফাইল চিত্র।
এক দিনে একটি পুর এলাকাতেই করোনায় সংক্রমিত হলেন ১১৩ জন! তার মধ্যে শ্রীভূমি, লেক টাউন, বাঙুর এলাকার ১০টি ওয়ার্ড থেকে ৮১ জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর এসেছে। বাকি ২৫টি ওয়ার্ডে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ জন। দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় আক্রান্তের এই ঊর্ধ্বমুখী লেখচিত্র চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের।
যদিও সোমবারের এই পরিসংখ্যানের পরেও উল্টো ছবি দেখা যাচ্ছে এলাকায়। অভিযোগ, বাজার থেকে শুরু করে গণপরিবহণ, অনেকেই মাস্ক পরছেন না। মানছেন না দূরত্ব-বিধি। এ সপ্তাহেই দু’টি সেফ হোম চালু করতে চলেছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা। রবীন্দ্র ভবনের সেফ হোমে থাকছে ২৫টি ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের সেফ হোমে থাকছে ১০টি শয্যা।
দক্ষিণ দমদমের মুখ্য প্রশাসক জানান, সংক্রমণে রাশ টানতে ১৩টি কন্টেনমেন্ট জ়োন করা হয়েছে। তার মধ্যে ১০টি ওয়ার্ডের জন্য ছ’টি এবং ২৪টি ওয়ার্ড মিলিয়ে বাকি সাতটি কন্টেনমেন্ট জ়োন রয়েছে। প্রচার থেকে শুরু করে সব রকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে। বন্ধ করা হয়েছে বড় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যদিও বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, পুর কর্তৃপক্ষ আগে পদক্ষেপ করলে এখন এত কড়াকড়ির পথে যেতে হত না।
শুধু দক্ষিণ দমদমই নয়, অতিমারির প্রকোপ বাড়ছে দমদম পুর এলাকাতেও। রবিবার সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ জন। সংক্রমণে কী ভাবে লাগাম পরানো যায়, তা নিয়ে এ দিন পুরসভায় জরুরি বৈঠক হয়। পুরসভা সূত্রের খবর, সচেতনতার প্রচারে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। পাশাপাশি, চলতি সপ্তাহেই সেফ হোম চালু করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সেখানে ৫০টি শয্যা থাকবে। কড়া পদক্ষেপ করছে পুলিশও। বিধিভঙ্গের অভিযোগে এ দিন ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নজরদারি চলছে বাজার এবং শপিং মলগুলিতে। বাসিন্দাদের একাংশ জানাচ্ছেন, এত কিছুর পরেও অনেকের হুঁশ ফিরছে না। নাগেরবাজার, দমদম স্টেশন সংলগ্ন বাজার, গোরাবাজার-সহ দমদমের একাধিক এলাকায় নিয়ম না মেনেই ঘুরছেন বহু লোক।
দমদম পুরসভার উপ-মুখ্য প্রশাসক বরুণ নট্ট জানান, প্রতিটি ওয়ার্ড এলাকায় জীবাণুনাশের কাজ জোরকদমে চলছে। সব চেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে সচেতনতার প্রচারে। নিয়মভাঙা জনতাকে বাগে আনতে পুলিশকে প্রয়োজনে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।