two wheeler rider
করোনা পরিস্থিতিতে ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে যাতায়াত করার জন্য দু’চাকার গাড়ির লাইসেন্সের আবেদনকারীর সংখ্যা বেশ খানিকটা বেড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় লাইসেন্স পেতে যাতে দেরি না-হয়, তার জন্য স্মার্ট কার্ডের লাইসেন্স দেওয়া আপাতত স্থগিত রাখল পরিবহণ দফতর। বদলে আবেদনকারীদের দেওয়া হচ্ছে লাইসেন্সের একটি প্রিন্ট আউট। কলকাতায় ‘পাবলিক ভেহিক্লস ডিপার্টমেন্ট’ (পিভিডি)-এর চারটি অফিস— বেলতলা, কসবা, বেহালা এবং বিধাননগরে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে।
পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, কারও লাইসেন্স অনুমোদিত হওয়ার পরে তা প্রথমে সংশ্লিষ্ট ‘ই-বাহন’ ওয়েবসাইটে আপলোড করা হত। পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড তৈরি করে তা দেওয়া হত প্রাপকদের। এই প্রক্রিয়ায় সময় বেশি লাগা ছাড়াও অতিরিক্ত খরচ পড়ত। আরও অভিযোগ, স্মার্ট কার্ডের লাইসেন্স প্রাপকদের আলাদা কোনও সুবিধাও হচ্ছিল না। কারণ, স্মার্ট কার্ডে একটি চিপ থাকলেও পুলিশ এবং পরিবহণ দফতর তাদের কাজে কার্ড রিডার ব্যবহার না-করায় আদপে ওই ব্যবস্থা কোনও কাজে আসত না। মূলত সেই খামতি দূর করতে এবং করোনা-আবহে লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে দেরি সংক্রান্ত জটিলতা কাটাতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
পরিবহণ দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, লাইসেন্স পাওয়ার জন্য অনলাইন পরীক্ষায় বসার ভিড় এড়াতে দৈনিক আবেদনের সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সব অফিসেই ওই সীমা ১০০ রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, অনলাইন পরীক্ষায় ১০টি প্রশ্নের মধ্যে অন্তত ছ’টি প্রশ্নের ঠিক উত্তর দিতে পারলে লার্নার লাইসেন্স মেলে। এর পরে হাতেকলমে গাড়ি চালানোর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তবেই পাওয়া যায় চূড়ান্ত লাইসেন্স। পরিবহণ দফতর জানিয়েছে, বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে স্মার্ট কার্ডের ব্যবস্থা করতে গিয়ে নানা সমস্যা দেখা দেওয়ায় এই প্রক্রিয়া সাময়িক ভাবে স্থগিত রাখা হল। আপাতত কারও লাইসেন্স অনুমোদিত হওয়ার পরে তিনি সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ( ই-বাহন ) থেকে সেটির প্রিন্ট আউট নিতে পারবেন। রাস্তায় ট্র্যাফিক আইন ভাঙলে ওই লাইসেন্স দেখে মামলা রুজু করতে পারবে পুলিশ।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃতদের স্মৃতিতে ‘সৌধ’ তৈরির ভাবনা