ফাইল চিত্র।
কলকাতা পুলিশের কর্মীদের পরিবারের ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সি সদস্যেরা যাতে নির্বিঘ্নে প্রতিষেধক নিতে পারেন, তার ব্যবস্থা করেছিল লালবাজার। এ বার পুলিশ পরিবারের ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সি সদস্যদেরও প্রতিষেধক দেওয়ার বিষয়ে সচেষ্ট হয়েছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার। পুলিশ হাসপাতাল থেকেই যাতে ওই প্রতিষেধক নেওয়া যায়, তার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিটকে একটি রূপরেখা তৈরি করতে বলেছেন তিনি।
লালবাজার সূত্রের খবর, সেই মতো বাহিনীর সদস্যদের তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। তবে কবে থেকে ওই প্রতিষেধক দেওয়া চালু হবে, তা নিয়ে শুক্রবার রাত পর্যন্ত লালবাজার কিছু জানায়নি। কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল, সিপাই, সিভিক ভলান্টিয়ার, হোমগার্ড, গ্রিন পুলিশ-সহ সমস্ত রকম পদমর্যাদার অফিসার ও কর্মীদের পরিবারের সদস্যেরাই ওই প্রতিষেধক পাবেন।
সূত্রের খবর, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন লালবাজারের কর্তারা। দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই ইতিমধ্যেই বাহিনীর ২২০ জন সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। এক জন অফিসারের মৃত্যুও হয়েছে। বাহিনীতে করোনার এই হামলা ঠেকাতে পুলিশ কমিশনার শুক্রবার বৈঠক করেন থানার ওসি-দের সঙ্গে। সেখানে প্রত্যেক পুলিশকর্মীকে করোনা-বিধি যা আছে, তা মেনে চলতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সব সময়ে যাতে অফিস জীবাণুমুক্ত করার কাজ হয়, তা-ও ওসিদের দেখতে বলা হয়েছে। এর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যানিটাইজ়ার, মাস্ক ও গ্লাভস লালবাজারে মজুত আছে বলে এ দিন জানানো হয়েছে।
গত বছর করোনা ঠেকাতে বাহিনী যে ভাবে এগিয়ে এসেছিল, ঠিক সেই ভাবে যাতে এ বারও বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে, সেই নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। এক পুলিশকর্তা জানান, গত বার লকডাউন এবং তার পরে কলকাতা পুলিশবাহিনী করোনা মোকাবিলায় সুনাম অর্জন করেছিল। বর্তমান পুলিশকর্তারা সেই ভাবেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ দিকে, এ দিন সন্ধ্যায় লালবাজারের এক কর্তা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই রাজ্যে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সমস্ত সিনেমা হল, শপিং মল, বিউটি পার্লার, রেস্তরাঁ, বার, স্পা এবং সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। থানাগুলিকে বলা হয়েছে কঠোর ভাবে ওই নির্দেশ বলবৎ করতে। ওষুধ বা মুদির দোকান খোলা থাকলেও অন্যান্য দোকানপাট এবং বাজার সকালে এবং বিকেলে নির্দিষ্ট কয়েক ঘণ্টার জন্যই খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে নবান্ন। এই সমস্ত বিধি যাতে ঠিকঠাক ভাবে পালন করেন সবাই, তা দেখার জন্য বাহিনীকে বলা হয়েছে। সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সমস্ত অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতেও বলা হয়েছে।