প্রতীকী ছবি।
লন্ডন ফেরত তরুণ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ায় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর সংস্পর্শে আসার কারণে, বাবা-মা এবং দুই গাড়ির চালক, দুই পরিচারিকাকেও ভর্তি করা হয়েছিল। বাবা-মা এবং দুই গাড়ির চালকের লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট নেগিটিভ এসেছিল। এ বার ওই দুই পরিচারিকারও রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর।
প্রত্যেকেরই লালরসের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। ওই ছ’জনের করোনাভাইরাসের পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও, পরবর্তী কালে ফের তাদের লালরসের পরীক্ষা করা হবে। সে কারণে,তাদের আপতাত রাজারহাটে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও ওই তরুণ যে বিমানে ফিরেছিলেন, ওই বিমানের যাত্রীদের নামের তালিকা-ঠিকানাও জানার চেষ্টা করছে স্বাস্থ্য ভবন।জানা গিয়েছে,যারা ওই তরুণের আশপাশের সিটে বসেছিলেন, তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা।ইতিমধ্যে বিমানবন্দরের দুই অফিসারকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার ভোরে ছেলে লন্ডন থেকে ফেরার পরেও ওই আমলা নবান্নে গিয়েছেন। বৈঠক করেন শীর্ষস্তরের এক আমলার সঙ্গে। গত সোমবার নবান্নে করোনা মোকাবিলায় একটি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে প্রশাসনের শীর্ষস্তরের কর্তাদের সঙ্গে ওই শীর্ষ আমলাও ছিলেন। গত কাল সকাল থেকে নবান্নে জীবাণুমুক্তকরণের কাজ শুরু হয়। ওই শীর্ষ আমলাও ওই দিন নবান্নে যাননি।
আরও পড়ুন- আমলা পুত্রের মতোই ‘বেপরোয়া’ বিলেতফেরত তরুণী, আতঙ্ক দক্ষিণের অভিজাত আবাসনে
আক্রান্ত তরুণের বাবা পেশায় চিকিৎসক। মা উচ্চপদস্থ আমলা। তাঁদের ছেলে গত রবিবার লন্ডন থেকে ফিরেছেন। বিমানবন্দর থেকে এমআর বাঙুর— সব জায়গা থেকেই ওই তরুণকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে যাওয়ার জন্য। কিন্তু ওই তরুণ মঙ্গলবার পর্যন্ত তা করেননি। উল্টে তাঁর মা নবান্নে গিয়েছেন। পুরোদমে অফিসও করেছেন। আর ওই তরুণও গিয়েছেন শহরের বিভিন্ন জায়গায়। সেখান থেকে শুরু হয় নবান্ন-সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা।
আরও পড়ুন: পঞ্চসায়রে করোনা আক্রান্তের আবাসনে ত্রাস, বেরোচ্ছেন না বাসিন্দারা