প্রতীকী ছবি।
করোনা সন্দেহে সৎকারে বাধা প্রতিবেশীদের। বুধবার বিকেলে বেনিয়াপুকুর থানার ক্রিস্টোফার রোডের বাসিন্দা এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। পরিবার সৎকারের করতে গেলে বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টা দেহ পড়েছিল ঘরেই। বৃহস্পতিবার বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহার হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত বছর একাত্তরের ওই বৃদ্ধার দেহ সৎকারে উদ্যোগী হয় পুলিশ-পুরসভা।
ওই বৃদ্ধা আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন। পরিবারের দাবি, তিনি তিনি সেরেও উঠেছিলেন। ফলে নার্সিংহোম থেকে তাঁকে বাড়িতে আনা হয়। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, ওই বৃদ্ধা করোনামুক্ত হননি। ওই অবস্থাতেই তাঁকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। তিন দিনের মধ্যে বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ তিনি মারা যান। করোনা রোগীকে আইন মেনে সৎকার করতে হবে বলে দাবি জানান এলাকার বাসিন্দারা। টালবাহানা চলতে থাকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত।
শেষ পর্যন্ত বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন স্বর্ণকমল। তিনি বেনিয়াপুকুর থানায় যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে তাঁকে বলা হয়, পুরসভার লোক ফোন ধরছে না। শেষে তিনি পুরসভার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের ফোন করেন। অবশেষে ১৮ ঘণ্টা পর, উদ্যোগী হয় পুলিশ-পুরসভা। কোভিড-১৯ রোগীর সৎকারের নিয়ম মেনেই ওই বৃদ্ধার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বর্ণকমল সাহা। তিনি বলেন, “আমি বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ এবং পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করি। নিয়ম মেনেই সৎকারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: ঘোড়ামারায় মিলল বিজেপিকর্মীর ঝুলন্ত দেহ, নিশানায় তৃণমূল
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)