বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি ওই যুবক। —ফাইল চিত্র।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে জয়পুরের একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল নদিয়ার বাসিন্দা এক যুবককে। সেখান থেকে পালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে হাওড়া স্টেশনে তাঁকে পাকড়াও করল রেল পুলিশ। জয়পুরের একটি হোটেলে তিনি কাজ করতেন। আপাতত করোনা সন্দেহে তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়েছে।
রাজস্থানের জয়পুরের যে হোটেলে ওই যুবক কাজ করতেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ইটালির বেশ কয়েকজন পর্যটক ছিলেন। হোটেলে তাঁদের সংস্পর্শে আসা অনেক কর্মচারীকে জয়পুরের একটি সরকারি হাসাপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে পালিয়ে যান ওই যুবক। সঙ্গে সঙ্গে জয়পুর পুলিশ এ রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে। খবর দেওয়া হয় রেল পুলিশকেও। হাওড়া স্টেশনে নজরদারি চালাচ্ছিল রেল পুলিশ। এ দিন সকালে নদিয়ার ওই যুবককে পাকড়াও করা হয়।
জানা গিয়েছে, ওই যুবককে আপাতত বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়েছে। তিনি নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা, তা জানার জন্যে ওই যুবকের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছে। ঠিক একই ভাবে সৌদি আরব থেকে ফিরে অসুস্থতা বোধ করায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল ভর্তি হয়েছিলেন জিনারুল হক। ওই যুবকের লালারসের যে নমুনা নাইসেডে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল, তাতে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রিপোর্ট নেগেটিভ, মুর্শিদাবাদে সৌদি ফেরতের মৃত্যু করোনায় নয়
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় রাজ্যে ১৬৩ আইসোলেশন বেড, সীমান্ত থেকে বিমানবন্দরে চলছে নজরদারি