ছবি পিটিআই।
নোভেল করোনাভাইরাসের কারণে গত বৃহস্পতিবার থেকেই আলাদা কন্ট্রোল রুম খুলেছে কলকাতা পুরসভা। ওই কন্ট্রোল রুমের কাজ দেখভাল করছেন স্পেশ্যাল মিউনিসিপাল কমিশনার। সেই সঙ্গে একটি কুইক রেসপন্স টিমও তৈরি করা হয়েছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, যাতে প্রয়োজন মতো যোগাযোগ করা যায় তা ভেবে কলকাতা পুলিশের কন্ট্রোল রুমের নম্বর, স্বাস্থ্য ভবনের নম্বরও রাখা থাকছে সেখানে।
শহর জুড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেখানে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না পুর কর্তৃপক্ষ। এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘শহরে কোয়রান্টিনে কত জন আছেন, তাঁরা কোথায় রয়েছেন, সেই সব তথ্য সংগ্রহ করে ওই এলাকাগুলিতে নজরদারি করা হচ্ছে।’’
সূত্রের খবর, এখনের পরিস্থিতি বিচার করে শুধুমাত্র কোনও সংস্থা নিয়োজিত কর্মীদেরই পুরসভায় আসতে বলা হচ্ছে। পুরসভার অফিসার এবং ইঞ্জিনিয়ারদের বাড়ি থেকেই কাজ করতে বলা হয়েছে। জল প্রকল্প, শ্মশান-কবর স্থান, আলো-সহ জরুরি পরিষেবা দিতে কয়েকটি দফতরের হাতে গোনা কর্মীরা কাজ করছেন।
পুরসভা সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় পুর ভবন থেকে সব বরো অফিসগুলি অ্যালকোহল যুক্ত জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে। এক পুর আধিকারিক জানাচ্ছেন, এটা একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। পুরকর্মীদের সংক্রমণের আশঙ্কা সব সময়েই বেশি, কারণ প্রতিদিন তাঁদের অসংখ্য মানুষের সংস্পর্শে আসতে হয়। সে ক্ষেত্রে এক জন সংক্রমিত হলে, দ্রুত তা অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকছে।
তেমন কিছু যাতে না ঘটে, সে জন্যই আগাম সতর্ক কর্তৃপক্ষ বাড়ি থেকে অনেক পুরকর্মীদের কাজের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই পুর আধিকারিকের কথায়, ‘‘এই মুহূর্তে অফিসে কম কর্মী থাকলেও কাজ একই ভাবে চলছে। কর্মীর অনুপস্থিতিতে পরিষেবায় কোনও ফাঁক থাকছে না।’’