Coronavirus

বস্তিতে সংক্রমণ ঠেকাতে আজ শুরু স্বাস্থ্য-সমীক্ষা

মোট কত জন আক্রান্ত হয়েছেন দুই এলাকায়, সেই সংখ্যা এখনও মেলেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২০ ০৪:১৯
Share:

প্রতীকী ছবি

উত্তর কলকাতার দু’টি এলাকার একাধিক বস্তিতে করোনা সংক্রমণের প্রবণতা বাড়ছে। তার মধ্যে একটি এলাকায় বেশ কয়েক জনের আক্রান্ত হওয়ার খবরও পাওয়া গিয়েছে। যা কপালে ভাঁজ ফেলেছে প্রশাসনের। বুধবার ওই দুই এলাকার একাধিক বস্তি নিয়ে স্থানীয় পুর অফিসে বৈঠক করেন স্বাস্থ্য ভবনের অফিসারেরা। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে এলাকায় বাড়ি বাড়ি স্বাস্থ্য-সমীক্ষা শুরু করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

Advertisement

মোট কত জন আক্রান্ত হয়েছেন দুই এলাকায়, সেই সংখ্যা এখনও মেলেনি। তবে বস্তি এলাকা হওয়ায় সংক্রমণের আশঙ্কা যে বাড়তে পারে, তা মনে করছেন পুরসভা ও স্বাস্থ্যকর্তারা। ওই বস্তিগুলি পুরসভার এক ও তিন নম্বর বরোর অন্তর্গত। এলাকায় যাতে সংক্রমণ না-ছড়ায়, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হচ্ছে।

আরও পড়ুন: আগে করোনা টেস্ট করান, সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধাকে ফেরাল ২০ হাসপাতাল!

Advertisement

ওই দুই এলাকায় সংক্রমণ ঠেকাতে কী করণীয়, মঙ্গলবার নবান্নে এক বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে ছিলেন মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ। এর পরেই বুধবার স্বাস্থ্য ভবনের এক প্রতিনিধিদল পুরসভার স্বাস্থ্য অফিসারদের নিয়ে ওই দুই বরো অফিসে যায়। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অফিসারেরা দুই বরোর চেয়ারম্যান তরুণ সাহা এবং অনিন্দ্যকিশোর রাউতের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে পুর স্বাস্থ্য অফিসার এবং পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করেন তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শান্তনু সেনও।

স্থানীয় সূত্রের খবর, একটি এলাকার বস্তির বাসিন্দা এক ব্যক্তি গত শনিবার আর জি করে মারা যান। পরে রিপোর্টে জানা যায়, তিনি করোনা পজ়িটিভ ছিলেন। অন্য একটি এলাকার বস্তিতেও করোনা সংক্রমণের খবর মিলেছে। ইতিমধ্যেই ওই দুই এলাকায় জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে। একটি বস্তি এলাকায় যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করেছে পুলিশ। অন্য এলাকাতেও পুরসভার পক্ষ থেকে ঘর থেকে না-বেরোনোর জন্য প্রচার চালানো হচ্ছে।

এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পুর স্বাস্থ্যকর্মীদের ১৫টি দল ওই দুই এলাকার বাড়ি বাড়ি ঘুরে স্বাস্থ্য-সমীক্ষা করবে। পিপিই পরে বাড়ির বাইরে থেকে তাঁরা তথ্য নেবেন। কারও জ্বর, কাশি বা সর্দি আছে কি না, থাকলে কী করতে হবে— জানিয়ে দেবেন। প্রয়োজন হলে সেখান থেকেই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলবেন। শান্তনু বলেন, ‘‘মানুষের অসুবিধা না-করে করোনা মোকাবিলায় সফল হওয়ার প্রশ্নে আমরা আশাবাদী।’’ এ ছাড়া, ওই দুই এলাকা জীবাণুমুক্ত করার কাজে আরও জোর দেওয়া হচ্ছে। বাড়ছে পুলিশি নজরদারিও।

আরও পড়ুন: দোকান খুলিয়ে মদ কিনলেন শাসক ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার, গাড়ি তাড়া করে লুঠ করল অন্য গোষ্ঠী

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement