বিধাননগর পুরসভা।
জরুরি পরিষেবা অব্যাহত রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ করবে বিধাননগর পুরসভা। সোমবার বিধাননগর পুর ভবনে ডাকা এক জরুরি বৈঠকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। পুরসভা সূত্রের খবর, লকডাউনের সময়ে বাসিন্দারা কেউ যাতে বাইরে না বেরোন, তা নিশ্চিত করতে পাড়ায় পাড়ায় মাইকে প্রচারের পাশাপাশি নজরদারিও চালানো হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে জঞ্জাল সাফাই থেকে শুরু করে বিভিন্ন দৈনন্দিন পুর পরিষেবা দেওয়া নিশ্চিত করতে বৈঠকে কথা হয়েছে। পুরকর্মীদের বাড়ি থেকে নিয়ে আসা ও পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু অনেক ওয়ার্ডেই পুরকর্মীদের কাছে এখনও মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। দ্রুত তাঁদের মাস্ক এবং স্যানিটাইজ়ার পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান এক পুরকর্তা। বৈঠকে নিজেদের মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখেই বসেন পুরকর্তা ও আধিকারিকেরা।
বিধাননগর পুরসভার পাশাপাশি ‘নিউ টাউন-কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ (এনকেডিএ) এবং হিডকো এলাকাতেও জরুরি পরিষেবা অক্ষুণ্ণ রাখতে বিভিন্ন পরিকল্পনা করা হয়েছে। যদিও জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকি কাজ বাড়ি থেকে করতে বলা হয়েছে ওই দুই সংস্থার কর্মীদের। প্রশাসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্লকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, এনকেডিএ-তে দু’টি বিশেষ সেল তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি দল নিউ টাউনের দু’টি কোয়রান্টিন কেন্দ্র ও তার চারপাশে সাফাইয়ের কাজ দেখভাল করবে। অন্য দলটি গোটা নিউ টাউনে পরিষেবা বজায় রাখার কাজ করবে। পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে লকডাউনের সময়ে সরকারি নির্দেশ মানা হচ্ছে কি না, সেই নজরদারিও চালানো হবে।
নিউ টাউনের বাসিন্দারাও আবাসনগুলিতে নিজেদের মতো ব্যবস্থা নিয়েছেন। পরিচারক-পরিচারিকারা কাজে আসতে পারবেন না বলে হাউসকিপিং-সহ অনেক কাজ নিজেরাই করতে শুরু করেছেন। জঞ্জাল সাফাইয়ে এনকেডিএ তাঁদের সাহায্য করছে।