Coronavirus

আবার ‘হেনস্থা’ হাসপাতালকর্মীদের

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, তাঁরা কেউ পাথর ছোড়েননি। কেউ কেউ আপত্তি জানিয়েছিলেন মাত্র। এখন ঘটনাটিকে বড় করে দেখানো হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২০ ০১:৪৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় যাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত, তাঁরাই বারবার হেনস্থার শিকার হচ্ছেন নিজেদের এলাকায়। মঙ্গলবার নারায়ণপুর থানা এলাকায় এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, তাঁরা ৪০-৫০ জন গত কয়েক দিন ধরে একটি আবাসনে রয়েছেন। সম্প্রতি স্থানীয় কিছু বাসিন্দা সেখানে তাঁদের থাকা নিয়ে আপত্তি জানান। সেই খবর পেয়ে পুলিশ-প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছিল। কিন্তু এ দিন বিকেলে পরিস্থিতি ফের ঘোরালো হয়ে ওঠে। হাসপাতালের এক কর্মী জানান, দুপুর থেকেই পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকে। তাঁরা ঘর থেকে শুনতে পান যে, তাঁদের অন্যত্র চলে যেতে বলা হচ্ছে। এর পরে গালিগালাজ ও হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় প্রবল আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই কর্মীরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, বাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেলও ছোড়া হতে থাকে। তখন তাঁরা ভয় পেয়ে বিধাননগর পুলিশ ও পুরসভার ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যান তাপসবাবুও।

আরও পড়ুন: মেডিক্যালে প্রসূতির করোনার জেরে একগুচ্ছ নির্দেশিকা স্বাস্থ্য ভবনের

Advertisement

যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, তাঁরা কেউ পাথর ছোড়েননি। কেউ কেউ আপত্তি জানিয়েছিলেন মাত্র। এখন ঘটনাটিকে বড় করে দেখানো হচ্ছে।

এ দিন রাতে তাপসবাবু জানান, একটি বেসরকারি হাসপাতাল জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে। ধাপে ধাপে খুলবে ওই হাসপাতালটি। এ দিন দুপুরে সেখানকার কর্মীদের ওই আবাসন থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে পর্যায়ক্রমে কাজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সে সময়েই করোনা রোগী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে কোনও ভাবে এলাকায় গুজব রটে যায়। কিছু মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পুলিশ গিয়ে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কেউ পাথর ছুড়েছেন কি না, তার খোঁজ নেওয়া হবে। এমন ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

আরও পড়ুন: ব্রেক দ্য চেন: হাই রিস্ক স্পটে একগুচ্ছ নতুন কৌশল স্বাস্থ্য দফতরের

এমন ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। হাসপাতালের ওই কর্মীরা জানান, পুলিশের ভূমিকায় তাঁরা খুশি। তবে তাঁদের অভিযোগ, শুধু এক জায়গায় নয়, বহু জায়গায় এমন ঘটনা ঘটছে। তাঁরা ভাইরাসের মোকাবিলা করছেন বলেই এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement