প্রতীকী ছবি।
বিধাননগর পুরসভার পাশাপাশি এ বার করোনার প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে রাজারহাট পঞ্চায়েত এলাকাতেও। যদিও ব্লক প্রশাসনের দাবি, নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পরিসংখ্যান সামনে আসছে। তবে গত এক মাসে কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
রাজারহাট ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ৩১৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। আগে দৈনিক ১০-১১ জন করে আক্রান্ত হচ্ছিলেন। বর্তমানে দৈনিক গড়ে ১৬ জন সংক্রমিত হচ্ছেন বলে খবর।
প্রশাসনের দাবি, আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পিছনে একটি কারণ লালারসের নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি। এই মুহূর্তে রেকজোয়ানি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, চাঁদপুর এবং পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে লালারসের নমুনা এবং র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ছাড়া নমুনা পরীক্ষা চলছে জ্যাংড়া-হাতিয়াড়ার স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও।
ব্লক প্রশাসনের অনুমান, পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একটি বাজার থেকেও সংক্রমণ ছড়িয়ে থাকতে পারে। ওই এলাকার কাছেই নিউ টাউনের একটি আবাসন এবং তার আশপাশে কয়েক হাজার লোক থাকেন। তাঁরা ওই বাজারের উপরেই নির্ভরশীল।
তাই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে বাজারগুলিতে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে ব্লক প্রশাসন। বলা হয়েছে, বিক্রেতারা যদি মাস্ক না-পরেন তা হলে তাঁদের দোকান এক দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে। ক্রেতাদের মুখে মাস্ক না-থাকলে তাঁদের জিনিস বিক্রি করা যাবে না। নিয়মিত ভাবে বাজার এলাকায় সচেতনতার প্রচার চালাতে হবে।
রাজারহাটের বিডিও জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় জানান, র্যাপিড অ্যান্টিজেন এবং লালারসের নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়েছে। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আশার কথা, গত এক মাসে অনেকে সুস্থও হয়ে উঠেছেন। নতুন করে কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। করোনা সংক্রমণ রুখতে সচেতনতার প্রচারের উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)