Kolkata Police

২০ দিনের চেষ্টায় ট্যাক্সিতে খোয়া যাওয়া মোবাইল, নথি উদ্ধার করল পুলিশ

ট্যাক্সিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে প্রসেনজিৎ পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। ফুলবাগান থানার আধিকারিক দীপক হালদার তদন্তের কাজ শুরু করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৫:২৮
Share:

প্রসেনজিৎ পালের হাতে উদ্ধার করা ব্যাগ ও মোবাইল তুলে দিচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। নিজস্ব চিত্র

সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে প্রায় ২০ দিনের চেষ্টায় ট্যাক্সিতে ফেলে আসা মোবাইল এবং নথি উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ফুলবাগান থানা এলাকায়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, আলিপুর আদালতের সরকারি আইনজীবী প্রসেনজিৎ পাল গত ২৭ জানুয়ারি থানায় একটি অভিযোগ জানান। ওই দিন তিনি তাঁর কাঁকুড়গাছির বাড়ির সামনে ট্যাক্সি থেকে নামেন। নামার পরে খেয়াল করেন যে, তিনি তাঁর মোবাইল ফোন এবং গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু নথি ভুলে ট্যাক্সিতে ফেলে এসেছেন। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি দ্রুত ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে দেখেন ট্যাক্সিচালক চলে গিয়েছেন। এর পর তিনি নিজের মোবাইল নম্বরে ফোন করেন। প্রথমে সেটি বেজে যায়। কেউ তোলেননি। তার পর ফোনটি সুইচড অফ হয়ে যায়।

কোনও ভাবে ট্যাক্সিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে প্রসেনজিৎ পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। ফুলবাগান থানার আধিকারিক দীপক হালদার তদন্তের কাজ শুরু করেন। প্রসেনজিৎ পুলিশকে ট্যাক্সিটির কোনও নম্বর দিতে পারেননি। তাঁর ফোনটিও সুইচড অফ থাকায় সেখান থেকেও কোনও তথ্য বার করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ।

Advertisement

আরও পড়ুন: তাপস পাল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার, তোপ দাগলেন মমতা

পুলিশ সূত্রে খবর, এর পর তদন্তকারী আধিকারিক, ওই এলাকার বিভিন্ন মোড়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখতে শুরু করেন। এক তদন্তকারী বলেন, ‘‘প্রসেনজিতের বাড়ি থেকে বড় রাস্তায় যাওয়ার সিসি ক্যামেরার সমস্ত ফুটেজ পরীক্ষা করি। সেখান থেকে কয়েকটি ট্যাক্সির নম্বর সংগ্রহ করি।” পুলিশ সূত্রে খবর, এ ভাবেই একটি ট্যাক্সিকে চিহ্নিত করা হয় এবং তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ধরে পুলিশ ট্যাক্সির মালিক এবং চালকের হদিশ পায়। এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রথমে ওই চালক মোবাইল এবং নথির কথা অস্বীকার করলেও পরে তিনি স্বীকার করেন।”

আরও পড়ুন: নজরদারি আরও আঁটসাঁট, বাংলার প্রশ্নপত্র ‘ফাঁসে’ তদন্তে পর্ষদ

এ প্রসঙ্গে ডিসি (পূর্ব শহরতলী) অজয় প্রসাদ বলেন, ‘‘ওই চালক প্রসেনজিৎবাবুর খোয়া যাওয়া জিনিস ফেরত দিয়েছেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement